নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার হরিণখোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধে দাড়িয়েই ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহা্জ এসএম শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর ইউনিয়ানের হরিনখোলা নামক স্হানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধ আটকানোর কাজ অব্যহত রয়েছে।
আজ ২৫ মে ঐ বাঁধেই ঈদের নামাজ আদায় করেন বাধে কাজ করা মানুষেরা। নামাজে ইমামতি করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আখম তমিজউদ্দিন।
আম্ফানের তান্ডবে কয়রা উপজেলার প্রায় ২১ কি:মি: বেড়িবাাধের অন্তত: ২১টি পয়েন্টে ভেঙ্গে গেছে। নদীর বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে লোনা পানি ঢুকে স্তব্দ হয়ে গেছে জনজীবন। লোনা পানিতে ভাসছে উপজেলার ৬টি ইউনয়নের প্রায় ৬২টি গ্রাম। গৃহহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির লোনা পানিতে ডুবে মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ ভাঙ্গন কিলিত বাঁধেই ঈদের নামাজ আদায় করে মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে বাঁধ মেরামতের কাজে অংশ নিয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহা্জ এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, বাধ ভাঙ্গার পরের দিন থেকে এলাকার মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আশা করি অল্প সময়ের ভিতর কয়রাকে লবন পানি মুক্ত করতে পারবো। এজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।
তিনি আরও জানান, ঈদের দিন বাধেই আমাদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে। সেখানে কর্মরত মানুষর জন্য সেমাই ও মাংস ভাতের ব্যবস্হা করা হয়েছে।