কিশোর কুমার: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের ধুকুড়িয়া গ্রামের দূলাল ব্যানাজী নামে এক পুজারীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আদলতের দারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী ওই পুজারী। অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার গনেশ চন্দ্র হালদার, মিঠুন হালদার দিলীপ হালদার। সরোজমিনে গেলে দুলাল বানার্জী ও তার ছেলে শ্যাম ব্যানাজী জানান, ত্রিশ বছর আগে গনেশ হালদারের কাছ থেকে খলিষখালী মৌজায়, ২০৩০৩, ২০২৬৩, ২০৪০৮, ২০৪১০ দাগের ৫১শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ন ভোগ দখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি বছর খানের আগে ওই সম্পত্তি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে গনেশ হালদার ও তার দুই ছেলে মিঠুন এবং দিলীপ। বর্তমানে তার স্থানীয়রা প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় থেকে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েক মাস আগে তাদের বাড়িতে ঢুকে জমি দখলের চেষ্টা চালায় গনেশ ও তার ছেলের নেতৃত্বে একদল দূর্বিত্ত। ওই সময় তারা থানা পুলিশের দারস্থ হলে দখল যজ্ঞ থেকে রক্ষা পায় তাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তি। সম্প্রতি মিঠুন ও দিলীপ পুন.রায় তাদের জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় তিনি আদালতে ১৪৫ধারায় একটি মামলা করেছেন। আদলত মামলাটির নথি পর্যাচলনা শেষে তার তদন্ত ভার পাটকেলঘাটা থানার ওপর ন্যাস্থ করেন। তারা আরো বলেন, মামলাটি করার পর বিষয়টি জানতে পেরে মিঠুন ও দিলীপ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।বর্তমানে তারা আমাদের মারপিটের হুমকি ধামকি সহ জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এই ঘটনায় নিরাপর্তা চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সুদৃৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে গনেশ হালদার জানান, তার কাকাতো ভাই দুলালের সাথে গত এক বছর ধরে জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কয়েকবার শালিশী বৈঠক করা হয়েছে তাতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা চাইছিলাম বিষয়টি ভাই ভাই বসে মিটিয়ে নিতে পারে। তবে দুলাল রাজি না হয়ে আমাদেরর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন তিনি। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি)মাহামুদ হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনায় আদলতের মামলা থাকার কারেন দুপক্ষকে নোটিশ দিয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।