
সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ার কেড়াগাজী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মামলা এবং নানানভাবে কৃৎসা রটিয়ে মানসিক ও সামাজিকভাবে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে একটি কুচক্রী মহল পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। সাবেক সভাপতি আতিয়ার রহমান ও কুচক্রী মহলের হাত থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হান্নান জানান, আমি ২০০০ সালে ঐ বিদ্যালয়টি নিজ উদ্যোগে এলাকার কয়েকজন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগীদের সাথে নিয়ে প্রায় ২ একর ৭৬ শতক জমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করি। আমার নিজের টাকায় ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করে বিদ্যালয়ের অফিস ও শ্রেণিকক্ষ তৈরী করেছিলাম। ২০০১ সালের ১ আগষ্ট আমি নিয়োগ পাই। তখন সভাপতি ছিলেন হাবিবুর রহমান। ২০০৪ সালে পর্যায়ক্রমে এন.টি.আর.সি.এর পূর্বে ৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয় সভাপতি হাবিবুর রহমান ও আমি। হাবিবুর রহমান ২০০৬ সাল পর্যন্ত অত্র বিদ্যালয়ে সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছী ইউনিয়নের কুটিবাড়ি গ্রামের মৃত আরশাদ আলী মোল্যার পুত্র আতিয়ার রহমান সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করে। তখন থেকে সভাপতি ও আমি সম্বিলিতভাবে সুনামের সাথে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছিলাম। তারপর একটি কুচক্রী মহলের প্রচারনায় ঐ বিদ্যালয়ের জমির উপর কুদৃষ্টি পড়ে সভাপতি আতিয়ার রহমানের। হঠাৎ একদিন বিদ্যালয়ের ২ একর ৭৬ শতক জমির মধ্যে ৭৬ শতক জমি রেখে বাকি ২ একর জমি বিক্রয় করার অনুমতির কথা রেজুলেশন করে আমার নিকট স্বাক্ষর করতে নিয়ে আসে। কিন্তু আমি সেটা না করার কারণে আমার উপর ক্ষেপে যান সভাপতি আতিয়ার রহমান। শুরু হয় মিথ্যা মামলা ও হুমকি, তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের শেষ দিকে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দেয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আবারও আমার নামে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে পাঠায়। সেই মামলায় আমি মহামান্য উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার দিনই কারা ফটক থেকে আবারও আমাকে আটক করে আমার বিরুদ্ধে আরও একটি মিথ্যা মামলা দেয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত তদন্ত পূর্বক সকল মামলা থেকে আমাকে অব্যহতি প্রদান করেন। তখন সভাপতি আর কোন উপায় না পেয়ে আমি উক্ত বিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য দোকান ঘরের ভাড়ার টাকা তুলে আত্মসাৎসহ নানান অভিযোগে চিফ জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৯২২/২০। উক্ত মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ার পর আমি ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সহযোগিতায় সভাপতি আতিয়ার রহমান এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ৪১টি দোকান ঘরের ভাড়া ও সাপ্তাহিক দুই দিন হাটের ভাড়ার ইজারার টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করার কারণে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আতিয়ার রহমান ২০০৬ সালে সভাপতি পদ পাওয়ার পর থেকে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ফান্ডে কোন টাকা জমা দেয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বার বার তাগাদা দেওয়ার পরেও প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। অন্য কোন উপায় না পেয়ে সভাপতি আতিয়ার রহমানকে বিবাদী করে আমিসহ পরিচালনা কমিটি নয় জন সদস্য বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং-২৫/২০২১। উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালত সভাপতিকে বিদ্যালয়ের দোকানের ভাড়া ও হাটের ইজারার টাকা না তোলার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং তার নিকট যে টাকা আছে সেগুলো বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সভাপতি আতিয়ার রহমান এঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মানসিক, শারীরিক ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য নানা রকম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ঐ বিদ্যালয়টি যাহাতে ওখানে চলতে না পারে সেজন্য একটি কুচক্রী মহলকে সঙ্গে নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।