
সচ্চিদানন্দদে সদয়,আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় ইলেক্ট্রিশিয়ান এখন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তার দায়িত্বে নেমেছেন। নিজেকে সকল ক্ষমতার অধিকারী পরিচয় দিয়ে মিটার দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকের নিকট থেকে ১০০০ টাকা করে আদায় করছেন ইলেক্ট্রিশিয়ান মনিরুল, মুক্তাজুল ও বাবুলাল।
কুল্যা ইউনিয়নের পুরোহিতপুর গ্রামের ৩ শতাধিক পরিবার এখনো বিদ্যুতের ছোয়া পাননি। এনিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করার পর বিদ্যুৎ বিভাগ মাপ জরিপ করে ইতিমধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করেছে। এসুযোগে ইলেক্ট্রিশিয়ান কচুয়া গ্রামের মনিরুল এবং তার সহযোগি মহাজনপুর গ্রামের মোত্তাজুল ও বাবুলাল মিটার পাইয়ে দেওয়া, ওয়াইরিং করা বাবদ প্রত্যেকের নিক থেকে ১০০০ টাকা করে আদায় করছেন। যেখানে মিটার বাবদ (সদস্য ফিসহ) ৪৫০ টাকা ও ওয়ায়েরিং খরচ ২০০ টাকা এবং টাকা প্রত্যেক গ্রাহককে স্ব স্ব নামে জমা দেওয়ার কথা। সেখানে অতিরিক্ত ৩৫০ টাকাসহ অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এভাবে তারাসহ উপজেলার কোন কোন এলাকায় সরকার ও বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়ম লংঘন করে বিদ্যুতের নামে টাকা আদায়ের ঘটনায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী ঘটনাস্থানে গেলে মনিরুল ও মোত্তাজুল ১০০০ টাকা করে আদায় করার কথা স্বীকার করেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে কড়াকড়ি থাকলেও কিভাবে বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদিত ইলেক্ট্রিশিয়ান মিটার ও লাইন সংযোগের নামে চাঁদাবাজী ও অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে খতিয়ে দেখার জন্য এলাকাবাসী জোরদাবী জানিয়েছেন। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি আশাশুনি সাব জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, টাকা আদায়ের কোন নিয়ম নেই। যে টাকা আদায় করছে তাকে বেধে থানায় দিতে আহবান জানিয়ে তিনি সকলকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান।