
হাফিজুর রহমান ঃ-পরকিয়া দেখে ফেলায় পুত্রবধু শ্বাশুড়ীকে শ্বাসরোধ করে মেরে আড়ায় ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুত্রবধু নিলুফা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিহত বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন (৬৫) পাইকারা গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী কারিকরের স্ত্রী। ঘটানাটি ঘটেছে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পাইকাড়া গ্রামে। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বাহারাইন প্রবাসী আজগর কারিকরের স্ত্রী নিলুফা খাতুনের পাশ্ববর্তী এক যুবকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রায় পরকিয়া প্রেমিকের সাথে মিলিত হওয়ার ঘটনা শ্বাশুড়ী দেখে ফেলায় প্রতিনিয়ত গোলোযোগ লেগে থাকতো এবং শ্বাশুড়ীকে ব্যাপক মারধর করতো। রবিবার সকালে আছিয়া খাতুনের ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে নিলুফা তাকে ডাকাডাকি আরম্ভ করে। এসময় প্রতিবেশীরা এসে ঘরের ভিতরে ঢুকে আছিয়া খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তার পুত্রবধুকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। থানা হতে উপ-পরিদর্শক মিলন ঘটনাস্থলে গেলে আফজাল হোসেন নামে স্থানীয় একজন অভিযোগ করে বলেন, নিলুফা তার শ্বাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যার পরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিলুফাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।