
হাফিজুর রহমান/হাবিবুল্লাহ বাহারঃ- প্রেমের ফাঁদ ও বিয়ের প্রলোভনে কালিগঞ্জের অষ্টাদশী যুবতী জেসমিন আক্তারকে কাজী বাড়ি নেওয়ার নাম করে ভারতে পাচারের প্রাক্কালে দেবহাটা থানার সীমান্তবর্তী পুটিমারি গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়ি হতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই সময় ভিকটিমের কথামতো কুলিয়া মাঝিপাড়া গ্রাম হতে পাচারকারী আবুল কাশেম (৪০) নামে এক দালালকে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।
পরে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমের কথিত প্রেমিক মনিরুল ইসলাম ওরফে রনি (৩০) অপর পাচারকারী কামরুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে (২২- জুলাই) বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় দেবহাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী পুটিমারি গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে।
গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারী আবুল কাশেম দেবহাটা থানার কুলিয়া মাঝি পাড়া গ্রামের আবু সানার পুত্র।
অপর ২ পাচারকারী মনিরুল ইসলাম ওরফে রনি কালিগঞ্জ থানার নারায়ণপুর গ্রামের খোদা-বক্স-র পুত্র।
তার সহযোগী পাচারকারী কালিগঞ্জ থানার সাদপুর গ্রামের আকছেদ গাজীর পুত্র নুরুজ্জামান(৩২)।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে। গত(২৩ জুলাই) শুক্রবার সকালে থানায় একটি মানব পাচারের মামলা দায়ের করেছে।
মামলা নং- ২৫। থানা সূত্রে ও ভিকটিমের বাবা জাহিদুল ইসলাম মামলার বাদী, সাবেক ইউপি সদস্য ইসরাইল গাজী সাংবাদিকদের জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের খোদা-বক্স-র পুত্র মনিরুল ইসলাম ওরফে রনি আমার কন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে গত (২১ জুলাই) বুধবার ঈদুল আযহার দিন কাজী বাড়ি বিয়ের কথা বলে সকাল আনুমানিক ১০টার সময় আমার কন্যা জেসমিনকে নিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে দেবহাটা থানার পুটিমারি গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। পাচারের বিষয়টি আমার কন্যা জানতে পেরে গৃহকর্তা রবিউল ইসলামের স্ত্রীকে বিস্তারিত জানায় এবং পায়ে ধরে উদ্ধারের আবেদন করেন। বিষয়টি গৃহকর্তা রবিউল ইসলাম জানতে পেরে আমার ঠিকানা নিয়ে গোপনে তারালী আমার বাড়িতে এসে সব খুলে বললে আমি সাথে সাথে কালিগঞ্জ থানা কে অবগত করি। পুলিশখবর পেয়ে ঐ রাতেই থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুটিমারি গ্রাম হতে আমার মেয়েকে উদ্ধার এবং ওই রাতেই পাচারকারী দালাল আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি জানার পরে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করি ও ভিকটিমকে উদ্ধার করি। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।