
কলারোয়া ব্যুরো: কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার নির্দেশদাতা ও হামলায় অংশগ্রহণকারীদের নিম্ন আদালতের রায় বাস্তবায়ন ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সোমবার বিকেলে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ।
কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল আলম মল্লিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ সাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফসার আলি, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লাইলা পারভীন সেঁজুতি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন, কলারোয়া পৌরসভার মেয়র মো.মনিরুজ্জামান বুলবুল, জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আল মাসুদ, বেনজীর হোসেন হেলাল প্রমুখ।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এইস এম আরাফাত হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রতœা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.সুমন হোসেন, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ আশকুর রহমান মুন্না, যুবলীগ নেতা শেখ মাসুম উজ্জামান মাসুমসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল আলম মল্লিক রবি।
বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তরা বলেন, ২০০২ সালের (৩০ আগষ্ট) কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর পার হলেও দ্রæত বিচার আইনের একটি মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫০ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হলেও ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিস্ফোরক ও অস্ত্র সংক্রান্ত দুটি এসটিসি মামলার আজও বিচার সম্পন্ন হয়নি। এটি আমাদের জন্য অনেক বেদনার অনেক কষ্টের।
বক্তরা আরও বলেন, তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে এসে সান্তনা দিয়ে ঢাকায় ফেরার পথিমধ্যে কলারোয়া বাজারের বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে তার প্রাণনাশের চেষ্টায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও জুতা স্যান্ডেল ছুড়ে মারা হয়।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মো: মোসলেম উদ্দিন (প্রয়াত) কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন। একই ঘটনায় দ্রæত বিচার আইনের একটি মামলার বিচার সম্পন্ন হলেও অস্ত্র ও বিষ্ফোরক আইনে এসটিসি ২০৭/১৫ ও এসটিসি ২০৮/১৫ মামলা দু’টি সাতক্ষীরা স্পেশাল ট্রাইবুনাল তৃতীয় আদালতে বিচারাধীন। দ্রæত মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচার ও শাস্তি কার্যকরের দাবী জানান বক্তরা। এর আগে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।