
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কলারোয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে জমি আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। জমির পরিরমাণ ২ বিঘা যার মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে কলারোয়া উপজেলার কোরালকাতা ইউনিয়নের বহুড়া গ্রামে।
জানাগেছে, বহুড়া গ্রামের মৃত হাজের বিশ্বাসের মেয়ে সোনাবিবি (৬৫) তার স্বামী ওয়াজেদ আলীকে নিয়ে পৈতৃক ভিটায় বসবাস করতেন। নি:সন্তান হওয়ায় চাচাতো ভাইপোরাই বৃদ্ধ সোনাবিবি দম্পত্তিকে দেখাশুনা করতো। হঠাতই চাচাতো ভাই মৃত ইসমাইল বিশ্বাসের তিন ছেলে ইসরাফিল, আজিজুল ও জাহাঙ্গীরদের কু-নজর পড়ে অসহায় বৃদ্ধ দম্পত্তি ফুফু সোনাবিবির বসবাসকৃত ৬ কাটা ভিটাবাড়িসহ দুই বিঘা জমির উপর।
বিগত ৩ মাস পূর্বে সোনাবিবির স্বামী ওয়াজেদ আলী চক্ষু অপারেশনের জন্য খুলনায় গিয়ে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে। এসময় নি:সন্তান সোনাবিবি বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই সুযোগে চাচাতো ভাইপোরা ফুফু সোনাবিবিকে চিকিতসার কথা বলে হাসপাতালে নেওয়ার নাম করে নিয়ে যায় কলারোয়া রেজিস্ট্রি অফিসে। সেখানে উক্ত অফিসের দলিল লেখক পলাশ মুহুরীর সাহায্যে ফুফুর নামে সোনাবিবির নামে থাকা ৬কাটা ভিটাবাড়িসহ ২ বিঘা জমি ভাইপোরা নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। ৪ দিন হাসপাতালে রেখে চিকিতসা ছাড়াই প্রতারক ভাইপোরা ফুফুকে বাড়ি নিয়ে আসে এবং প্রতারণার ঘটনাটি তারা ফুফুকে জানায়। কিন্তু অসহায় বৃদ্ধা সোনাবিবির তো এখন আর কিছুই করার নেই। জমি তো রেজিস্ট্রি হয়েই গেছে।
অভিযোগ রয়েছে প্রতারক চক্ররা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সোনাবিবিকে ভিটাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখলে নিয়েছে। ঘটনাটি এলকায় বহুলালোচিত হলেও কোনো সঠিক সমাধান হয়নি। অবশেষে অসহায় সোনাবিবি ও তার স্বামী এখন নিজের ভাইপো রফিকুল ইসলামের বাড়িতেই অবস্থান করছে।
এবিষয়ে দু:খ প্রকাশ করে চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, নি:সন্তান দম্পত্তির এই ঘটনা অত্যন্ত দু:খ জনক। আমরা বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এবিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা কোন কিছু জানতে চাইলে যা কিছু করার তা ওই বৃদ্ধার জন্য করা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার এসআই ইসরাফিল হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি গত মাসের ৩ তারিখে ঘটনাস্থলে তদন্তে যাই। অভিযোগটির শতভাগ পাওয়ো গেছে। প্রতারক চক্ররা কৌশলে এবং ভুল বুঝিয়ে বৃদ্ধা সোনাবিবির জমি লিখে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হলে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ওসি স্যারের নিকট থেকে মিটিয়ে দেয়ার কথা বলে সময় নিয়েছিল। এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে আর বসা হয়নি। তবে অতি দ্রুত এবিষয়ে মিটমাট না হলে মামলা রেকর্ড করা হবে বলে জানান তিনি।