নিজস্ব প্রতিবেদক: নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে অবরুদ্ধ হওয়া সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদকে ভোলা সদর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে বদলির বিষয়টি জানানো হয়। যদিও প্রজ্ঞাপনে বদলির বিষয়ে কোন কারন উল্লেখ করা হয়নি।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সঃ প্রশাঃ) বিপুল কুমার বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত (স্বারক নং- ৩৭.০২.০০০০.১০১.১৯.০১২.১৬.২৫৮৮০) প্রজ্ঞাপনে দেশের মোট সাতজন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি/পদায়নের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বদলি হওয়া উক্ত কর্মকর্তাদের পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে নামের পাশে বর্নিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি/ পদায়ন করা হলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মস্তাফিজুর রহমানকে কলারোয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়ীত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটা স্বাভাবিক বদলি, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে নয় বরং সেখানে একটি মহল অনিয়মের মাধ্যমে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য তিনিসহ নিয়োগ বোর্ডের উপর চাপ প্রয়োগ করছিলো, যার কারনে সেখানে নিয়োগ বোর্ড বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে আমাকেসহ দেশের মোট সাতজন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি/পদায়নের আদেশ দেয়া হয়েছে এবং আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে উক্ত কর্মস্থানে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে।
এরআগে, গত শনিবার কলারোয়া উপজেলার দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর চার কর্মচারী নিয়োগে ৬০ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ তুলে নিয়োগ বোর্ডের মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে থাকা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এঘটনার এক দিন পর ১০ অক্টোবর বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ভোলা জেলার সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। যদিও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপনে বদলির কোন কারন উল্লেখ করেনি।
প্রসংগত; গত শনিবার কলারোয়া উপজেলার দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর চার কর্মচারী নিয়োগে ৬০ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ তুলে এই পাতানো নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মিরা কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ এবং নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধিদ্বয় তালা সরকারী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার, তালা বি.দে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজান কবির ও দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে থানা পুলিশ এসে দুই পক্ষের উত্তেজনাপ‚র্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এঘটনার প্রেক্ষিতে উক্ত নিয়োগ বোর্ড বাতিল করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ভোলা সদরে বদলি!
পূর্ববর্তী পোস্ট