
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের সেই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী নিরঞ্জন রায়ের সহায়তায় আবার চাঞ্চল্যকর জালিয়াতি সংঘটিত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের মৃঃ ওসমান দালালের পুত্র গোলাম নবী ১৪৭৬/৯৩ নং দলিলে ১৩টি দাগে .৬০ শতাংশ(ষাট শতক) জমি তার চার পুত্রকে কোবলা করে দেয়। কোবলা গ্রহীতা ৪ পুত্র অফিজুল, হাফিজুল, আজিজুল ও ফাইজুল ওয়ারেশ ফাঁকি দিয়ে পিতার আরো জমি রেকর্ড করে নিতে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী নিরঞ্জন রায়ের স্মরণাপন্ন হয়।
.৬০শতক জমির ১৪৭৬/৯৩ নং দলিল দিয়ে নামজারির জন্য ভূমি সহকারীর মাধ্যমে পৃথক চারটি আবেদন দাখিল করা হয়। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবেদনের অনুকুলে ১০৭ শতক জমির রির্পোট দাখিল করেন। নানা অপকৌশল ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী নিরঞ্জন রায় নামজারি কেস নং ২৬৭৭(ী-র)/২০২২-২০২৩: নামজারি কেস নং ২৬৭৮(ী-র)/২০২২-২০২৩: নামজারি কেস নং ৪০৮২(ী-র)/২০২২-২০২৩ ও নামজারি কেস নং ৪০৮৪(ী-র)/২০২২-২০২৩ এর মাধ্যমে এক একর সাত শতক জমি রেকর্ড করে দিয়েছে বলে সুত্র জানায়। .৬০ শতকের দলিলে ১ একর ৭ শতক জমি রেকর্ডের বিষয় অন্য ওয়ারেশরা জানতে পারায় এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। এ বিষয়ে নিরঞ্জন রায় বলেন, কাগজ পত্র না দেখে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা রুলী বিশ্বাস বলেন, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে ভূমি সহকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য: ইতিপূর্বে এই ভূমি সহকারী ভূয়া ওয়ারেশ সাজিয়ে জালিয়াতি করে সরকারী সম্পত্তি অন্যের নামে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ আছে।