পরকীয়ার কারণে পূর্ব বিরোধের জের;
বে-আইনী পোর্টাল থেকে সংবাদ প্রকাশ করে ত্রাস সৃষ্ঠির অভিযোগ;
নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্ব পারিবারিক বিরোধের জেরে একটি পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শামীম খানের বিরুদ্ধে। একের পর এক ত্রæটিপূর্ন তথ্য উপস্থাপন করে অনিবন্ধিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে নিয়মিতভাবেই পরিবারটিকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে পরিবারটির সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা।
তথ্যানুসন্ধানের জানা যায়, তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের নুর উদ্দীনের ছেলে শামীম খানের পরকীয়ার জেরে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে তারই প্রতিবেশি রেজাউল ইসলামের পরিবারের প্রায় ১০ বছর ধরে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের পরিবারের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই নানা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে একটি ভ‚য়া বে-আইনী অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। ‘দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ’ নামের পোর্টালটির সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে নিজেই রয়েছেন। শুধু এই পরিবারই নয়, নিজ প্রতিবেশী অনেককেই হয়রানি করছে শামীম খান।
হয়রানির শিকার পরিবারটির সদস্য রেজাউল ইসলাম জানান, ‘আমি ঢাকায় একটি গামেন্টেস্এ কাজ করতাম। তাই বাড়ি থাকতে পারতাম না। শামীমের আমাদের বাড়ীতে যাওয়া আসা ছিলো। আমি বাড়ি না থাকার সুবাদে আমার প্রথম স্ত্রী আসমার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে শামীমের। ঘটনা জানাজানি হলে আমি বাড়ি আসি। এ ঘটনায় বিভিন্ন সময় শালিষ বিচার হয়। কিন্তু কোন কিছুই কাজে আসে না। একদিন সুযোগ বুঝে তারা পালিয়ে যায়। শামীম আসমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও শামীম আমাকে ছাড়েনি। আমাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য প্রবাসে জীবিকা অর্জন করে। সেই টাকা আত্মসাতের আশায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানি করতে থাকে। স্থানীয় একটি মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সহ এলাকার অনেকের নামে মামলা হয়। পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্যে বিবাদ সময়ের পরিক্রমায় মিটে গেলে আপোষের মাধ্যমে সেই মামলা মিটে গেলেও বিভিন্ন সময় আমাকে ওয়ারেন্টের আসামী বলে তার পত্রিকায় প্রচার করে সে। অন্যদিকে আমার বড় ভাইর স্ত্রীর সাথে খোরপোস কেন্দ্রীক মামলা আছে। যা বাড়িয়ে বাড়িয়ে অপপ্রচার করে শামীম। ওর একটি অনলাইন নিউজ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির নামে সংবাদ প্রকাশ করে তিন বছরেই ভীতির সৃষ্টি করেছে শামীম।’
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শামীমের প্রতিবেশি আব্দুল আলিম জানান, ‘রেজাউলের স্ত্রী’র সাথে পরকীয়া ছিলো শামীমের। পরে দুই সন্তানকে ফেলে শামীমের সাথে পালিয়ে বিয়ে করে আসমা। এ ঘটনা সবাই জানে।’
রেজাউলের নামে মামলার বাদীনী একই গ্রামের এনায়েত খার স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, ‘রেজাউলদের সাথে মামলা অনেক আগেই মিটে গেছে। তাদের সাথে ওঠাবসা খাওয়া দাওয়া সবই স্বাভাবিক।’ শামীমের বিষয়ে তিনি জানান, ‘শামীমতো রেজাউলের বৌ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। তার পরিবার মেনে না নেওয়ায় পরে সেই স্ত্রীকে বাদ দেয়।’
শামীম ও রেজাউলদের প্রতিবেশী রহিমা বেগম জানান, ‘তার মেয়ের জামাইয়ের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে শামীম। সেই সংবাদের জেরে তার মেয়েকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় জামাই। এ নিয়ে স্থানীয়দের চাপে মাপ চেয়ে সে যাত্রায় রেহাই পায় শামীম। ’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে শামীম খানের নিউজ পোর্টালে দেওয়া নম্বরটিতে একাধীকবার কল দিলেও সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়। তবে কথিত মানবাধিকার কর্মীদের মানবাধিকার লংঘনের লাগাম টানার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।