ন্যাশনাল ডেস্ক:
এবার আবহাওয়া অনকূল ছিল। লকডাউন থাকায় দূষণও ছিল কম। ফলে ইলিশের বড় হওয়ার পথে কোনও বাধা ছিল না। আর তাই পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে রওনা হবার আগে অনেক আশায় বুক বেঁধেছেন। তাঁদের কথায়, আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে ভালো ইলিশ মিলবে। আগের বছর সেভাবে ইলিশ পাওয়া যায়নি । কিন্তু এবার সবকিছু অনুকূল । আশা করছি নিরাশ হব না।
মাছের প্রজননের জন্য সরকারিভাবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল ১৪ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। সরকারি এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রবিবার শেষ হয়েছে। তারপরই সমুদ্রে যাওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশ পেয়েছেন মৎস্যজীবীরা। সোমবার ভোর থেকেই ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে হাজার খানেক ট্রলার। রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার মৎস্যজীবীদের পরিবারে এখন খুশির পরিবেশ। আশায় বুখ বেঁধেছেন ট্রলার মালিকরাও। তবে সমুদ্রে পাড়ি দেবার আগে সব মৎস্যজীবীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। তারপরই ট্রলারে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে মাস্ক পড়তে হয়েছে। করোনা আবহে নির্দিষ্ট নিয়মবিধি মেনে চলার জন্য মৎস্যজীবীদের সতর্কও করেছেন মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি ট্রলারের মৎস্যজীবীরা যেমন সচেতনতা অবলম্বন করে মাছ ধরবেন, তেমনই মাছের বাজারগুলিতেও রাখা হবে কড়া নজরদারি। মৎস্য অধিকর্তা দাবি করেছেন, এবছর ইলিশ প্রেমীদের জন্য খুশির খবর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এবং লকডাউনের জেরে সমুদ্র ও নদীতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দূষণ অনেকটা কমেছে। ফলে মৎস্যজীবীদের জালে উঠতে পারে পর্যাপ্ত রুপোলি ইলিশ।