নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পদ্দশাখরা এলাকার মান্দার বক্সের ছেলে ইতালি প্রবাসী ইছা আমিন। বর্তমানে দেবহাটা উপজেলার সখিপুরে শশুর বাড়িতে থাকেন। ইটালী যাওয়ার আগে ইছা আমিনের সংসার চলতো পদ্মশাখরা বাজারে একটি আর্ট’র দোকানে কাজ করতো, একই সাথে দর্জির কাজ করতো। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ইতালির একটি কোম্পানিতে চাকরী করে। শশুর বাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রী বসবাস করে। নিজ কর্মকান্ডের কারণে এলাকা ছাড়া ইছা আমিন। এলাকা ছাড়া হয়ে ঠাঁই হয় শশুর বাড়ি ঘর জামাই হিসেবে। টাকার নেশায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে ড্রামে করে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছায় বলে জানাযায় একটি ফাঁস হওয়া ফোন কল রেকর্ডে। টাকার নেশায় আসক্ত হয়ে ইছা আমিন টার্গেট করে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের। চায়ের দোকানদার থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী, রং মিস্ত্রী, নাপিতসহ নানা পেশার মানুষ তার ফাঁদ থেকে বাঁচতে পরছেনা। এবিষয়ে কয়েকজন ভূক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মাঝপারুলিয়া ৫নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলামের দুই ছেলে ইসমাইল ও ইসরাফিল কে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নজরুলের জামায় রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এদিকে ইসমাইল ও ইসরাফিলকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য রফিকুল ইসলাম চাপ দিতে থাকলে ইছা আমিন দীর্ঘদিন হয়রানির পর বলে আমি আপনাদের টাকা শোধ করে দিব। টাকা চাইলে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করতে থাকে ইছা আমিন। এভাবে দীর্ঘদিন হয়রানির পর ইছা আমিনের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পরিবার।
পারুলিয়া ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ময়না বলেন, আমি নিজে ইতালি যাওয়ার জন্য ইছা আমিনের সাথে যোগাযোগ করি। ইছা আমিনের সাথে আমার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার চুক্তি হয়। সেখান থেকে প্রথমে একলক্ষ টাকা আগাম দিতে হবে বাকি টাকা ইতালি থেকে কাগজপত্র পাঠানোর পর। সেই অনুযায়ী আমি ইছা আমিনের কাছে একলক্ষ টাকা দেই। টাকা নেয়ার পর থেকে একের পর এক তালবাহানা করে। ইতালি কবে নিয়ে যাবে জানতে চাইলে একের পর এক সময় দিতে থাকে। তখন আমি বুঝলাম আমি একজন প্রতারকের পাল্লায় পড়েছি। দেশে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করে ইছা আমিনের ছেলে হাসিবুল। আমি তখন পারুলিয়া বাজারে ইছা আমিনের ছেলের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিতে চাইলাম। তার পর আমার টাকা ফেরত পাই।
পারুলিয়া বাজারের একজন চায়ের দোকানদার মো. শাহিন বলেন, ইছা আমিনের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা আগাম দেই। দীর্ঘদিন হয়রানির পর আমার টাকা আমি আদায় করতে সক্ষম হই। আমার মাধ্যমে আরও দুই জনের ইতালি যাওয়ার টাকা দিয়েছিলাম।
এছাড়াও সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান এলাকার সেলিম গাজীর ছেলে বেস্ট লুক প্রতিষ্ঠানের আশরাফুল আলমসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।