
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বড়দল দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদরাসায় দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রতিকার ও নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে এলাকাবাসী, অভিভাবক, গভর্নিং বডির সদস্য ও সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি মাদরাসা অধ্যক্ষ ও সভাপতি যোগসাজস করে মাদরাসার অফিস সহকারী (কম্পিউটার), নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গোপন কার্যক্রম শুরু করেছেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই সুপার এস এম আহসানউল্লাহ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী প্রার্থীদের সাথে দেন দরবার শুরু করেন। এলাকার প্রচার হচ্ছে যে, অধ্যক্ষ নিজ সন্তানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মাদ্রাসার নামে এক বিঘা জমি লিখে দেবেন মর্মে অঙ্গিকার করছেন। নিরাপত্তা কর্মীর জন্য ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও আয়া পদের জন্য ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছে। প্রার্থীরা ইতিমধ্যে গভর্নিং বডির সদস্যদের বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ করে যাচ্ছেন।
নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির গন্ধ প্রকাশ হতে শুরু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে আবার নতুন করে পুরনো কিচ্ছা প্রকাশ হয়ে আসছে। পুরনো কাহিনী হলো, অধ্যক্ষ নিজেই কেবল প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে কর্মরত থেকে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই তার পরিবারের ৬জনকে প্রতিষ্ঠানে ঢুকিয়েছেন। বর্তমানে ৫ জন কর্মরত আছেন, নিজে অধ্যক্ষ, স্ত্রী এবতেদায়ী প্রধান, ভাগ্নে জামাই সহকারী অধ্যক্ষ, নিজের জামাই সহকারী মৌলভী ও ছোট ভাই দপ্তরি পদে কর্মরত। তার চাচা (মৃত) সাবেক নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। এখন আবার ছেলেকে নিয়োগ দিতে চাচ্ছেন। এলাকার সচেতন ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম, একেএম লুৎফুল আলম, আবু মোঃ সাইফুলসহ শত শত ব্যক্তি জানান, অধ্যক্ষ আহসান উল্যাহ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভুঞা ডিও লেটার নিয়ে ধরা খেয়েছিলেন, তার পিতার নামে মাহতাব উদ্দিন এতিমখানা (অস্তিস্তহীন) এর নামে সরকারি বরাদ্দ নেওয়া, ল্যাট্রিনের নামে জেলা পরিষদের সহায়তা উত্তোলনসহ বহু অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ এস এম আহসানউল্লাহর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এলাকাবাসীর দাবী দুর্নীতি মুক্ত, স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষার স্বার্থে এবং যোগ্য প্রার্থীরা যাতে আবেদন করতে পারে তার সে জন্য বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা করা হোক। সাথে সাথে গভর্নিং বডির সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহন করা এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান হয়েছে।