আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনির পল্লীতে ৩৫ বছর ভোগ দখলি বসতবাড়ীতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সিমানার ঘেরা বেড়া, ফলজ ও বনজ গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের চাংদীবামনডাঙ্গা মৌজায় পার্শ্ববর্তী তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের পিজির উদ্দীন মোল্যা ও তার ওয়ারেশ আবুল হোসেন দিংদের নিকট থেকে দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর পূর্বে সাবেক ১৭৫ দাগ, হাল ৪৮৫ দাগে ৮০ শতক জমি ক্রয় সুত্রে প্রাপ্ত হন ওই গ্রামের ইছাহাক আলী সরদারের পুত্র জয়নাল আবেদীন। যাহা আরএস ৪৩৫ নং খতিয়ানভূক্ত হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক জমি ক্রয়ের সমুদয় টাকা পরিশোধ করলেও সমন্বয়ের অভাবসহ বিভিন্ন কারনে জয়নাল আবেদীন জমি রেজিষ্ট্রি কার্য সম্পন্ন করতে পারেনি। কিন্তু আরএস রেকর্ডের সময় জমির প্রকৃত মালিকগন তৎকালিন সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসারের সামনে হাজির হয়ে উল্লেখিত জমি জয়নাল আবেদীনের বরাবর ভোগ দখলে স্বীকার করে ৯ নং কলামে দখল বুঝে দেন। ১৯৯০ সাল থেকে জয়নাল আবেদীন উক্ত জমিতে জমির উপর ৩/৪টি পাকা ঘর, জমির চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্ত, সব কিছু জানার পরও আরএস ৪৩৫ খতিয়ানের মালিকগনের কিছু বিপথগামী ওয়ারেশ আছাদুজ্জামান দিংরা বিধি বহির্ভূতভাবে গোপনে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ ভূল ও ভুয়া কাগজপত্র সরবরাহ করে ১০৫৫/২০২২-২৩ নং কেসমূলে গত ২১ সেপ্টেম্বর’২২ তারিখে নামজারি ১৬৮৪ নং খতিয়ানভূক্ত করিয়েছেন। সে থেকে তারা ওই অবৈধ জবর দখলের পায়তারা চালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে জয়নাল আবেদীন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তা বরাবর ভূয়ামি করে নামপত্তন করা কেসটি খারিজপূর্বক ১৬৮৪ নং খতিয়ানটি বাতিল করার জন্য আবেদন করেছেন। উভয় পক্ষের নোটিসান্তে যার বিচারের দিন রয়েছে ৩০ নভেম্বর’২২। এরই মধ্যে তৃতীয় একটি পক্ষ ওই গ্রামের মৃত. আক্কেল সানার পুত্র আরশাদ সানা, তার পুত্র অহিদুল সানা, পুত্রবধু মরিয়ম খাতুনসহ তাদের পক্ষীয় লোকজন দা, শাবল ও লাঠি-সোটা নিয়ে ফায়দা লোটার জন্য গত সোমবার বেলা ১১ টার দিকে জয়নাল আবেদীনের বসতবাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে ঘেরা বেড়া কাটতে শুরু করে। পরে কয়েকটি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে। এছাড়া মাচা করে লাউ,সিমসহ বিভিন্ন লতা জাতীয় গাছও কর্তন করে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। অসহায় জয়নাল আবেদীন স্টোকের রোগী ও তার বাড়ীতে তেমন কেহ না থাকায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন তার পরিবার। তিনিসহ তার পরিবার দ্রুত সমস্যা সমাধানপূর্বক প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ওই পরিবার।
আশাশুনির পল্লীতে জোরপূর্বক বসতবাড়ীর ঘেরাবেড়া ও গাছ কর্তনের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট