
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার তুয়ারডাঙ্গায় রাতের আঁধারে ঘরের সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে হেতাইলখালী গ্রামের ইসমাইল সরদারের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সালমা বেগম বাদী হয়ে তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, সারিফুল ইসলাম, সাজিদা খাতুন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলেন, বিবাদীরা তার পাশের গ্রাম প্রতিবেশী ও পূর্ব পরিচিত। বাদীর স্বামী তুয়ারডাঙ্গা পূর্ব পাড়ায় অনুমান ৪০ বছর পূর্বে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করে সেখানে বসত ঘর তৈরী করেন। তবে হেতাইলখালী গ্রামে নিজস্ব জমিতে ঘর বাড়ি করে সেখানে তারা বসবাস করতো এবং তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে পূর্ব পাড়ায় পূর্বের বাড়িতে তাদের ছেলে সালেক হোসেন স্বপরিবারে বসবাস করতো। এক পর্যায়ে তারা সকলে হেতাইলখালী গ্রামে নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করতে থাকায় সেই সময় ১নং বিবাদীর কোন থাকার জায়গা ছিলনা। বিভিন্নস্থানে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করা অবস্থায় অনুনয় বিনয় করায় তুয়ারডাঙ্গা পূর্ব পাড়ায় বাদীর বসত বাড়িতে কয়েকদিন থাকার জন্য আশ্রয় দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ঘর ছাড়তে টালবাহানা ও টাকা দাবী করলে স্থানীয় মেম্বর ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ হয়। সালিশে বিবাদীদেরকে ৩০,০০০ টাকা দিলে জমি সহ ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবে সিদ্ধান্ত হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে ৩০,০০০ টাকা প্রদান করলে ৩/৪ দিন পূর্বে তারা ঘর ছেড়ে চলে যায়। বাদী পক্ষ নিজেদের তৈরী করা ঘর বাড়ি ও ঘরের চাল, চটা, বেড়া সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ১৬ অক্টোবর বিকাল ৩ টার দিকে ভেঙ্গে নেয় এবং ভ্যান না পেয়ে মালামাল গুছিয়ে রেখে বাড়ি চলে যায়। ১৭ অক্টোবর সকাল ৬ টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখে কে বা কাহারা ঘরের চাল, চটা, বেড়া সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। বাদীর ধারনা বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাতের কোন সময় মালামাল আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ক্ষয় ক্ষতি করেছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপর পক্ষের শফিকুল ইসলাম ও সাজিদা খাতুন জানান, তারা ঘর ছেড়ে দেননি। তাদের ঘর ভেঙ্গে তছনছ করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ইসমাইল, তার স্ত্রীসহ তাদের দলীয় লোকজন। তারা আইন আদালতের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন।