
সচ্চিদানন্দদে সদয়,আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার এলজিইডি’র নিয়ন্ত্রণাধিক সড়কগুলো মাল বোঝাই ট্রাক ও যানবাহন চলাচলে নিয়ম অমান্যের ফলে সড়কগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দায়িত্বশীলরা দেখেও না দেখার ভান করে নিশ্চুপ থাকায় বছর না পুরতেই সড়কের অবস্থা চরম নাজুক হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) মোঃ মোসলে উদ্দিন স্বাক্ষরিত ৪৬.০২.০০০০.৬০২.৩০.০০৩ (অংশ-৩).১৬- ৯৯৬ তারিখ ১৪/১২/২০১৭ নং স্মারকে নির্বাহী প্রকৌশলী (সকল) ও উপজেলা প্রকৌশলী (সকল) কে প্রদত্ব পত্রে “স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন সড়কগুলোতে যাতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক ওজনের মাল বোঝাই ট্রাক বা যানবাহন চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশে সড়কগুলো রাস্তার ডিজাইন স্টান্ডার্ড অনুযায়ী যাতে ১০ টনের অধিক ওজনের মালবাহী ট্রাক বা যানবাহন চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, সম্মানিত জন প্রতিনিধি এবং বিআরটিএ এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সে নির্দেশ আজও বাস্তবে দেখা যায়নি। আশাশুনির এলজিইডি’র সড়কগুলোতে দেদারছে নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটে চলেছে। কাউকে বাধা দিতে দেখা যাচ্ছেনা। নির্মানাধীন ব্রীজের মালামাল, সড়ক নির্মানের মালামাল, ইটভাটার মালামালসহ বিভিন্ন পণ্যবহনকারী ট্রাক নিয়ম অমান্যের প্রতিযোগিতা চালিয়ে আসছে। ফলে সড়কগুলো বসে যাওয়া, খুড়ে যাওয়া, ব্রীজ-কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়া, ওভার টেকিং বা ক্রসিং এর সময় সড়কের পাশের অংশ নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা বা কি পরিমাণ মালামাল বহন করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। এছাড়া ছোট খাট রাস্তাগুলোতে ট্রলি, মিনি ট্রাক, পিক-আপ অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করে নষ্ট করে ফেলছে। সব মিলে এলাকার রাস্তাগুলো সরকারি অর্থ ব্যয়ে নির্মান বা সংস্কার করা হলেও স্বল্প সময়ে সেগুলো নষ্ট করা হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসন ও সরকারি কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার মানুষ।