
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) কে ঘিরে জমজমাট জুয়ার আসর। খেলা চলাকালে জুয়ার নেশায় মেতে উঠছে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বেকার যুবক, ভ্যান চালক, দোকান কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার লোকজন। খেলাটি ভারতের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে হলেও আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান, বাসা-বাড়ি এমনকি যেখানেই টিভি সেখানেই চলছে বাজিধরা। এছাড়া স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশে-বিদেশের বাজিকরদের সাথেও বাজি ধরে থাকেন এখানকার উঠতি বয়সী স্কুল কলেজগামী ছাত্ররা। এছাড়াও মোবাইল, ইন্টারনেট ও টিভি দেখে সহপাঠিদের সাথে ফোন, হোয়াটস্অ্যাপ, ইমু ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে খেলার হারা-জেতার উপর বিভিন্ন অংকের টাকা বাজি ধরেন তারা। ফলে এসব জুয়াড়িরা অনেকটাই থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কে বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে এসবের উপর প্রতি মুহুর্তেই চলছে বাজিধরা। এভাবে উপজেলার প্রায় সকল হাট-বাজার ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ক্রিকেট জুয়ায় ভাসছে। খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই বাজি ১শ’ থেকে শুরু হয়ে লাখ টাকা পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। কেবল ম্যাচে হারজিত নিয়ে বাজি নয়, প্রতি ওভারে ওভারে এমনকি বলে বলে বাজি ধরছেন ছোট-বড় বাজিকররা। এতে করে প্রতিদিনই কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বাজিকরের দল। ফলে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ। কাজেই এসব বাজিকরদের ধরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল।