
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রভাবশালী দখলকারী ভূমিদস্যুদের দাপট ও বাঁধা-বিপত্তি এবং সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাতক্ষীরার লাবসা জমিদার বাড়ি নতুন জামে মসজিদটি নামাজ পড়ার জন্য ব্যবহারের উপযোগি হওয়ায় মুসল্লীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এতদিন একটি পুরাতন জমিদার আমলের ছোট মসজিদে দীর্ঘদিন মুসল্লীদের নামাজের জায়গা সংকুলান হতোনা। ঐ প্রভাবশালী দখলকারী ভূমিদস্যুদের দাপট ও বাঁধা-বিপত্তির কারণে মসজিদটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়েছিল। এলাকাবাসী ও মুসল্লীদের কর্মতৎপরতায় নতুন মসজিদটির নির্মাণ সম্পন্ন হতে চলেছে। উল্লেখ্য, ১৯২৮ সালের ১৭-ই সেপ্টেম্বর লাবসার জমিদার মুন্সি ইমাদুল হক লাবসা সরকারি দাতব্য চিকিৎসালয়ের নামে জনস্বার্থে জে.এল নং ৮৮ লাবসা মৌজায় ২ নং খতিয়ানের সি.এস ৬১৪ ও ৬১৭ দাগে ৩৬ শতক সম্পত্তি ২৭/১১/১৯২৮ তারিখের ৩৩২৭ নং রেজিস্ট্রি দলিলমুলে দান করেন এবং ঐ জমিতে নিজ অর্থে লাবসা সরকারি দাতব্য চিকিৎসালয়ের ডাক্তারদের জন্য ৩৬ শতক সম্পত্তিতে তিন কক্ষ বিশিষ্ট পাঁকা বাসভবন নির্মাণ করেন। সে সম্পত্তির ওয়ারেশগণ দেশের বাহিরে প্রবাশযাপন করায় তাদের দানকৃত জমি বেদখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালী দখলকারী ভূমিদস্যুদের কারণে জমির দলিল, এস.এ, খতিয়ান, ৩১ ধারা ও প্রিন্ট পর্চা বাংলাদেশ সরকার পক্ষে লাবসা সরকারি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে থাকা সত্বেও ৩৬ শতক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হয়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল ঐ সম্পত্তি উদ্ধারের দাবী জানালেও মাথা ব্যাথা নেই স্বাস্থ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের। সাতক্ষীরা জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ঐ সম্পত্তি স্বাস্থ্য বিভাগের দখলে নেওয়ার জন্য বারবার সুপারিশ করা হলেও আজো ঐ সম্পত্তি উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিসের কারনে স্বাস্থ্য বিভাগের এই উদ্দেশ্যমূলক আচরণ। দখলকারী ভূমিদস্যুদের দাপটে স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যর্থ বলে মনে করছে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
ইসি নং ৪২৭০/আমির হায়দার ওয়াকফ স্টেট এর নামে লাবসা গ্রামের মৃত মুন্সি নুরুল হক’র পুত্র মুন্সি নাজমুল হক, মুন্সি আমিরুল হক বাবলু, মুন্সি রাইছুল হক টুকু, মুন্সি মাছুদুল হক, কন্যা মাহমুদা খাতুন, মাহফুজা খাতুন, নাছিমা খাতুন অবৈধভাবে ঐ সম্পত্তি জবর-দখল করে আসছে। তাদের পক্ষে কোন লিখিত দলিল পত্র বা ওয়াকফ স্টেট এর সঠিক কাগজ পত্র না থাকায় তারা ঐ সম্পত্তি তাদের নামে রেকর্ড করতে ব্যর্থ হয়। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের প্রচেষ্টায় সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকার পক্ষে লাবসা সরকারি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে সকল রেকর্ড সম্পন্ন হয়ে প্রিন্ট পর্চা বের হয়েছে। সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগের নামে প্রিন্ট পর্চাসহ জমির সকল কাগজপত্র তাদের পক্ষে থাকার পরও কি কারণে তাদের নিজস্ব সম্পত্তি দখলে নিচ্ছেনা এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জনস্বার্থে লাবসা সরকারি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে থাকা ৩৬শতক বাড়িসহ সম্পত্তি উদ্ধারে জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও মুসল্লীরা।