
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য অফিসের কম্পিউটার অপারেটর গাজী ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধ আয় বহিভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। খুলনার দিঘলিয়া এলাকায় অর্ধ শত কোটি টাকার সম্পদ ও বিদেশে ভ্রমন নিয়ে হতবাগ হয়ে অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজী ইমরান হোসেন দৈনিক ৪০০টাকা মুজুরি তে কয়েকবছর আগে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য অফিসে যোগদান করেন। কয়েকবছর যেতে না যেতে ফুলে ও ফেঁপে ওঠেন তিনি । অভিযোগ রয়েক জনস্বাস্থ্যে গুটি কয়েক টিকাদার নিয়ে অফিসের অসাধু কর্মকর্তার ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। এই সকল টাকা দিয়ে খুলনার শহরের দিঘলিয়া এলাকায় গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
নাম না জানানোর শর্তে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, গাজী ইমরান হোসেন দৈনিক ৪০০টাকা মুজুরিতে কম্পিটার অপারেটর হিসাবে
কাজ করত তার। ওই সময় অফিসের এক বড় কর্মকর্তার সাথে মিলে জাল টেন্ডারের মাধ্যমে হাতিয়ে নিত অর্থ। এই অর্থের বড় একটা টাকা যেত সেই কর্মকর্তার পকেটে। এভাবে দিনের পর দিন অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
নাম না জানানো শর্তে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক ঠিকাদার জানান, চাকুরি জীবনে বেশির ভাগ সময় ইমরান সাতক্ষীরাতে কাটান। ওই সময়ে অফিসের এক বড় কর্মকর্তার সাথে মিশে অনলাইনে ভূয়া টেন্ডারের মাধ্যমে হাতিয়ে নিত অর্থ। এছাড়া তার পরিচিত জনদের লাইসেন্স নিয়ে নিজেই জনস্বাস্থ্য প্রকল্পের কাজ করতেন তিনি। বর্তমানে সাতক্ষীরাতে তার প্রকল্পের কাজ কাজল নামে কথিত এক ঠিকাদার দেখাশুনা করে।
তিনি আরো জানান, ইমারানের চাকুরি পাওয়ার আগে ছোট্ট একটি কুটিরে বসবাস করত। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সে অর্ধশত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। দূর্নীতি এই টাকা দিয়ে নিজবাড়ি দিঘলিয়া উপজেলায় কিনেছে ৮০বিঘা জমি। গড়ে তুলেছেন কোটি টাকা মূল্যের বিলাশ বহুল বাড়ি। এছাড়া ৬০ও ৭০বিঘার দুটি মৎস ঘের রয়েছে তার। বর্তমানে তার যাতায়তের জন্য ৪টি মোটরসাইকেল। এছাড়া বছর দুবার বিদেশ ভ্রমন করেনি তিনি যেটি তার পাসপোর্টে সত্যতা মিলবে। তার এই অবৈধ সম্পদ অর্জন দেখে হতবাগ হয়েছে অনেকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে গাজী ইমরান হোসেন জানান, একটি পক্ষ তার সার্থ হাসিলের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি দৈনিক ৫০০টাকা মজুরিতে চাকুরি করি।আমার যদি বিলাশ বহুল বাড়ি কিংবা মৎস ঘের থাকত তাহলে আমি চাকুরি করতাম না।
বিদেশ ভ্রমনের বিষয়ে প্রস্ন ছুড়ে দিলে তিনি বলেন, আমি একবার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে ছবি তুলেছি মাত্র। কাজল নামে এক ঠিকাদারের সাথে পার্টনারশিপ আছে এমন প্রস্নের জবাবে তিনি বলেন কাজল ঠিকাদারকে আমি চিনি তবে কয়েকছর হল ঠিকাদারী করেন না। বর্তমানে তিনি মোটরসাইকেল ভাড়াই চালান বলে শুনেছি।