*জেলার আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক
*মাদক ও চোরাকারবারি সিন্ডিকেট বিপাকে;
*ব্যবসা চাঙ্গা করতে গোপন চক্রান্ত;
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা বাসীর নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । ন্যায়, নীতি, দক্ষতা, সততায় পরিপুষ্ট অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন ব্যক্তি। তিনি সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। তার প্রচেষ্টায় জেলার পুলিশের সর্বস্তরে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। জনসাধারণের দোরগোড়ায় আধুনিক পুলিশিং সেবা পৌঁছে দিতে রাত-দিন নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি।
তিনি ২২ সালের ২৩ আগস্ট সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে জেলায় মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, জুয়া, অশ্লীলতা, জবরদখল, চাঁদাবাজিসহ সবধরনের চোরাকারবার বন্ধে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করছেন। জনবান্ধব আধুনিক সেবামুখী পুলিশিং নিশ্চিতকরণে ও পুলিশ-জনগণ সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি পুলিশিং; বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো জোরদার করেছেন। প্রতিটি থানায় অনলাইন জিডি, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সার্বক্ষনিক তদারকি করেন তিনি। জেলা পুলিশের সব সদস্যদের সকল শ্রেণির মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার এবং পেশাগত ম‚ল্যবোধে দৃঢ় থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেছে পুলিশ সুপার। এতে করে জেলা জুড়ে মাদকের অপব্যবহার কমে গেছে বহুগুণ। কমেছে জনসাধারণের মাঝে অপরাধ প্রবণতা। বন্ধ হয়েছে ছোট বড়ো চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা শহরে যানজট নিরসনের মধ্য দিয়ে লাঘব হয়েছে জনসাধারণের দুর্ভোগ।
এছাড়া অসহায়, দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে অল্পদিনে এ’জেলায় উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
মেধাবী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সাজিয়া খাতুনের লেখা পড়ার দায়িত্ব নেন পুলিশ সুপার। আবুল হোসেন নামক এক বৃদ্ধ বিদেশ যাওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এক প্রতারক কে দিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ে। রে পুলিশ সুপারের চেস্টায় প্রতারকের নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ সুপার আবুল হোসেন কে সেই টাকা ফিরৎ দেন। তীব্র শীতে যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের দু:খ দুর্দশার চিত্র দেখতে পুলিশ সুপার রাতের আধারে কম্বল নিয়ে বাস টার্মিনাল, বাইপাস সড়ক ও বিভিন্ন স্থানে ছিন্নম‚ল শীতাত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
পুলিশ সুপারের অক্লান্ত চেষ্টায় জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি খুব স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা পুলিশ মানুষের জনমালের নিরাপর্ত্তা র সার্থে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি শহরে অজ্ঞান পার্টির অস্তিত্ব ধরা পড়লেই দ্রæত অজ্ঞান পাটির সর্দার আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। বর্তমানে শহরে আর চুরি ডাকাতি অন্য যে কোন সময়ের চাইতে সর্ব নি¤œ। তাছাড়া পুলিশ সুপার যোগদানের পর বাইপাস সড়কে একটি হত্যা কান্ড ঘটে। আলোচিত হত্যা কান্ডের মাত্র ৫ দিনের ভিতরে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সেই হত্যাকারী কে আটক করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে চোরাকারবারিরা ছিলো সব চেয়ে আতংকে। সোনা ও মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের পন্য চোরাকারবারির সাথে জড়িত প্রভাবশালী অনেকেই খেয়েছে জেলের ভাত। তাদেরই মধ্যে কেউ কেউ চোরাকারবারের পথ সুগমে গোপন চক্রান্তে জড়িত।
পুলিশ সুপারের যোগদানের পর থেকে জেলার ট্রাফিক বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জেলা ট্রাফিকের টিআই এডমিন শ্যামল কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জেলা ট্রাফিক পুলিশ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সিমেন্টের রিং বসিয়ে রাস্তা ক্রসিং চলাচল পথ নির্ধারন করেছে। এতে করে সড়কে আগের তুলনায় দ‚র্ঘটনা কম ঘটছে। তাছাড়া হেলমেট বিহীন চালক, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ী জব্দ করে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ফেব্রুআরি থেকে ডিসেম্বর /২২ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি টাকা সরকারী রাজস্ব আদায় করেছে।এছাড়া ট্রাফিক সচেতনা বৃদ্ধি, দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ সহ নানা বিধ জনসচেতনতা মুলক কাজ করে যাচ্ছে সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশ।
পুলিশ সুপারের যোগদানের মাত্র ৮ মাসের ভিতরে সাতক্ষীরা সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেল হারিয়ে যাওয়া ২৫০ টি মোবাইল ও বিকাশে হারানো ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিক দের কাছে হস্তান্তর করেছে।তাছাড়া প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের উত্যক্ত, নারীদের ভার্চুয়ালে যৌন হয়রানি সহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধ দমনে কাজ করছে সাতক্ষীরা সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আতিকুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার যোগদানের পর ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ এথন স্বচ্ছতার সহিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। কোন রকম যাত্রী হয়রানী নেই বল্লেই চলে এথন ভোমরা ইমিগ্রেশনে। আর এটি সম্ভব হয়েছে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের আইসি মাজরেহা হোসেনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে।
পুলিশ সুপার অবিভাবক হিসাবে অফিসার ও ফোর্সের হৃদয় কেড়েছেন। ফোর্সসের সুস্বাস্থ্যের জন্য তিনি প্রত্যেকটি ফাঁড়ি ও পুলিশ মেসে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফোর্সদের কোন অসুখ বিসুখ হলে পুলিশ সুপার দ্রæত ছুটে যান অসুস্থ্য সদস্য দে দেখতে এবং তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার। তাছাড়া কনস্টেবল বদলিতে লটারি সিস্টেম করে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম।
পুলিশ সুপারের সব চাইতে বড় অর্জন হচ্ছে চলতি বছর মে মাসের ১৫ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতায় বিনা টাকায় ৭৬ জন কে কনস্টেবল পদে চাকুরী দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম।
মাত্র ৮ মাসে পুলিশ সুপারের অর্জন অনেক বেশি এবং সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জেলায় থাকলে সোনা ও মাদক কারবারিদের ব্যবসা ছাড়তে হবে তাই তারা গোপন আতাতের মাধ্যমে চক্রান্তে লিপ্ত। পুলিশ সুপারের দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সকল অপশক্তি ও চোরাকারবারি দের পরাজয় ঘটবে এটাই প্রত্যাশা জেলা বাসীর।