জাতীয় ডেস্ক:
প্রেমিকাকে পার্কে নিয়ে ‘ধর্ষণে’ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর আলোচনায় বিয়ে করেত রাজি হলেও সন্তান নষ্ট করার শর্তের কারণে মামলা করেছে কিশোরীর পরিবার। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গত ২ জানুয়ারী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতে দায়ের করা মামলাটি এ মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে মোহনগঞ্জ থানায় রেকর্ডভুক্তির নির্দেশ দেয় বিচারক।
মোহনগঞ্জ থানা সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে আরও জানা গেছে, মামলায় অভিযুক্ত ইফাত নামের তরুণ পলাতক রয়েছেন।
আদালতে মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে ইফাত কাজের সূত্রে মোহনগঞ্জ পৌরশহরে থাকতেন। এদিকে মোহনগঞ্জের বাসিন্দা এক কিশোরীর সাথে তখন থেকেই ইফাতের প্রেম হয়। প্রেমের সূত্র ধরে ইফাত ওই কিশোরীকে নিজ এলাকা বারহাট্টার আলোকদিয়া নুরুল্লাচর ডিজনি শিশুপার্কে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। এর পরেও নানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় শারীরিক সম্পর্ক হয় তাদের মাঝে। বিষয়টি কিশোরীর পরিবারে জানাজানি হয়। তখন কিশোরীর পরিবার ও ইফাতের পরিবার একসাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করে।
কিন্তু আলোচনায় ইফাতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পেটের সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে কিশোরীর পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। পরবর্তীতে কিছু দিন অপেক্ষা করে সবশেষ গত ২ জানুয়ারি কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত মামলাটি ২৯ মার্চের মধ্যে রেকর্ডভুক্ত করতে মোহনগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে মোহনঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মামলা রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে পলাতক ইফাত নামের তরুণকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। এদিকে অভিযুক্ত ইফাত পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।