
তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলামঃ
তালায় হাজরাকাটি বাজারে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ ১১ টি দোকানঘর নগত টাকা আসবাবপত্র মালামাল ভষ্মীভূত হয়ে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান গুলো লোনের টাকার মাধ্যমে ব্যবসা করতেন ফলে দোকানদার পথে বসেছেন। খবর পাওয়ামাত্র তালা ও ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিস এর দুটি ইউনিট ঘন্টাব্যাপি প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার ফলে বাজারের শতাধিক দোকান অগ্নি সংযোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
গত বুধবার (২৯ শে অক্টোবার) রাত্র আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানী সরকার, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দীন,জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলার নায়েবে আমীর আলহাজ¦ ডা. মাহামুদুল হক,তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম পৃথক পৃথক সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার হাজারাকাটি গ্রামের সুরমান গাজী (৪৫) জানান, তার সংযুক্ত তিনটি মিষ্টির দোকন,ফ্রিজ,কাঠের সোকেচ,চিনি,আলু,ময়দা,তৈল চাউল নগত টাকা ১৪ হাজার সহ ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। রায়হান গাজী (২৭) এর দুটি মিষ্টির দোকান নগত ৩ হাজার সহ ১ লক্ষ টাকার মালামাল,হানেফ গাজী(৪৪) দুটি চায়ের দোকান নগত ৫০০ শত টাকা সহ ১ লক্ষ টাকা,আফাজ গাজী (৫০) বিচুলির দোকান ৫০ হাজার টাকা,আদম গাজী (৩৮) মুদিখানা ও কাঁচামাল মিলে ১ লক্ষ টাকা,মাসুদ রানা বিশ্বাস (৩৩) চা ও মুদি দোকান ২ লক্ষ টাকা,বাবলু শেখ (৫২) চায়ের দোকান ৫০ হাজার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সকল ব্যবসায়ীদের গ্রামীন ব্যাংক, ব্রাক এনজিও, উন্নয়ন প্রচেষ্টা,নওয়াবেকী সংস্থা,জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন,আশা এনজিও, উদ্দীপন এনজিও থেকে লোন নিয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ লোনধারী ব্যক্তি হলেন সুরমান গাজী। তার লোন নেওয়া প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তাছাড়ার প্রত্যেক দোকানদার ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার লোন নিয়ে ব্যবসা করতেন।
হাজরাকাটি বাজারের নৈশী প্রহরী মো.কেরামত শেখ জানান, রাতে ডিউতি কালে কুকুর ডাকার আওয়াজ শুনতে পেয়ে এগিয়ে যেয়ে দেখে সুরমান গাজীর মিষ্টির দোকানের পিছন থেকে আগুন জ¦লছে। এসময় সে চিৎকার দিতে থাকে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসার মধ্যে চারিদিকে আগুন দাউ দাউ করে জ¦লতে থাকে।
খবর পেয়ে তালা ও ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দুটি ইউনিট ঘন্টাব্যাপি প্রচেষ্টায় অগ্নিনির্বাবক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তারমধ্যে হাজরাকাটি বাজারের ১১ টি দোকান পুড়ে ভষ্মীভূত হয়ে যায়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দীন জানান,প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে চুলা থেকে অগ্নি কান্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানী সরকার জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ১১ টি দোকান মালিকদের নিজ উদ্যোগে স্ব স্ব স্থানে দোকানঘর পুনঃনির্মাণ করার অনুমতি সহ সরকারের পক্ষথেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

