
তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলাম: তালায় জমকালো আয়োজনে, উৎসবমুখর পরিবেশে ও লক্ষাধিক দর্শকের উপস্থিতিতে ৩ লক্ষ টাকার ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের হাইভোল্টেজ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ এই ফাইনালে গোপালগঞ্জের ভাজোদি শিকদার ফুটবল একাডেমিকে ০ -১ গোলে পরাজিত করে খুলনার সান স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় তালা উপজেলার চরগ্রাম কপোতাক্ষ ফুটবল মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ছায়াবীথি’ আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে খেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ছায়াবীথি সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেনÑ তালা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবু মৃণাল কান্তি রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম শফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মির্জা আতিয়ার রহমান এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক স. ম. ইয়াসিন উল্লাহ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সঞ্চালনা করেন তালা উপজেলা যুবদলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছায়াবীথি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান সাইদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মেহেরুন্নেসা মিমি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস. এম. মারুফুল ইসলাম মারুফ, মাগুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ আমিনুল ইসলাম, ছায়াবীথির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নাসির নাহিদ, সংগঠনের সৈয়দ আজম, ময়েজ উদ্দিন মাতব্বর, হাফিজুর রহমান, সার্জেন্ট আ. রহিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার বক্তব্যে বলেন, “তালা বাসিরা খেলা ভালোবাসেন। ইনশাল্লাহ, যদি আপনারা আমাকে আবারো ধানের শীষে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, আমি তালায় একটি আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করব যেখানে খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজকে এগিয়ে নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন,“আপনাদের ভোটে আমি অতীতে জাতীয় সংসদে গিয়েছিলাম এবং তালা-কলারোয়ার সর্বত্র উন্নয়ন করেছি। আগামী দিনেও অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই।”
ফাইনাল খেলায় ধারাভাষ্য দেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ফোরামের সদস্য মাস্টার ওলিয়ার রহমান ও জাতীয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ইসমাইল হোসেন মিলন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং নির্বাচিত ২০ জন দর্শকের হাতে উপহার হিসেবে জার্সি তুলে দেন। চরগ্রাম কপোতাক্ষ মাঠে অনুষ্ঠিত এই খেলায় বহু দূর-দূরান্ত থেকে আসা ফুটবলপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো, যা পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকা জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

