
দেবহাটা প্রতিনিধি: অসৎ, অযোগ্য আল্লাহবিমুখ, ব্যক্তিকে নির্বাচন করার অধিকার কুরআনে দেয়নাই, হাদীসে দেয়নাই , কোন ধর্মে দেয়নাই শুধু ইসলাম ধর্ম না অন্য কোন ধর্মের ভিতরে কোন জালেমকে ভোট দেওয়া, চাঁদাবাজকে ভোট দেওয়া, কোন ইসলামবিমুখ ব্যক্তিকে ভোট দেওয়া সুযোগ কুরআনে নাই, হাদিসে নাই, অন্য কোন ধর্মের মধ্যেও নাই, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঈমানের সাথে ইসলামী আন্দোলনকে সম্পৃতি করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যারা ঈমানদার আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দিন কায়েমের জন্য চেষ্টা করে সংগ্রাম করে সাধনা করে আর যারা কাফের তারা শয়নের রাজ তাগুদের আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে। হে ঈমানদারগণ আল্লাহ জমিনে আল্লাহর আইন কায়েম করার তোমরা এগিয়ে আসো শয়তানের তাগুতের আইনের বিরুদ্ধে তোমরা জিহাদে অংশ গ্রহণ করো। রাসূল (স.) বলেছেন, ইসলামি আন্দোলনের কাজ কিয়ামত পর্যন্ত বাকি থাকবে আমি কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামি আন্দোলনে নির্দেশ তোমাদের কাছে আমি দিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চয় যারা ঈমানদার যারা বলবে আমি মুমিন ও ঈমানদারদের কাছ থেকে আল্লাহ তায়ালা জান এবং মালকে ক্রয় করে নিয়েছি জান্নাতের বিনিময়। এ দেশের জনগণ এখন কুরআন প্রেমিক কুরআনের রাজ কায়েম হওয়ার জন্য রসূলের আর্দশ কায়েম করার জন্য আজকে শুধু ভাতশালা এলাকা না দেবহাটা এলাকা না গুটা বাংলাদেশের মানুষ এখন উদ্বেক হয়ে আছে। আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশের চার চারটি বিশ্ববিদ্যালয় তরুণ এবং যুবকরা আহŸান করছে হে মুরুব্বিয়েকেরাম আমরা তরুণরা যুবকরা প্রমাণ করে দিলাম বিজয় অর্জন করে। এ বাংলাদেশে তরুণরা আছেন যুবকরা আছেন গুটা বাংলাদেশে তারেয়ে তাকবিরের ¯েøাগান উপলদ্ধি করুন এবং কুরআনের আওয়াজকে উপলদ্ধি করুন, রাসূলের সুন্নাতের আদর্শকে উপলদ্ধি করুন এ তরুণ ছাত্রশিবিরের পক্ষে থেকে আমাদেরকে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রতিটি শহীদের বাড়িতে গিয়েছি এবং প্রথমে এক লক্ষ করে টাকা দিয়েছি পরবর্তিতে তাদেরকে তিন লক্ষ করে টাকা দিয়ে আমরা প্রতিটি শহীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। যারা আহত হয়েছেন পঙ্গুতবরণ করেছেন তাদেরকে চিকিৎসার জন্য জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। এই দেশকে রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছি তরুণ এবং যুবকরা রক্ত দিয়েছে এই রক্ত দিয়ে স্বাধীন করা দেশটাকে আমরা কোনদিন চাঁদাবাজদের হাতে তুলে দিতে পারি না চাঁদাবাজি আমরা করবো জুলুম করবো না আর আমরা চাঁদাবাজি করতে দিবো না কোন জালেমকে জুলুম করতে দিবোনা। যদি কোন জালেমরা জুলুম করে চাঁদাবাজি করে তাদেরকে হাতকে অবাশ করে দিবেন। এদেশে চাঁদাবাজি চলবে না , টেন্ডারবাজি চলবে না , গম চুরি চলবে না, রড চুরি চলবে না, এখানে একটি শান্তিময় সুন্দর জুলুমমুক্ত, নির্যাতনমুক্ত, একটি সুশীতল ছায়াতলে বাংলাদেশ মাথাউঁচু করে দাঁড়াবে পৃথিবির সামনে একটি উন্নত বিশ্ব হয়ে দাঁড়াবে আমাদের স্বপ্ন আপনাদের স্বপ্ন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী, খুলনা অঞ্চল পরিচালক, সাতক্ষীরা-২ আসন (সদর-দেবহাটা) জামায়াতের মনোনীত নমিনি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় দেবহাটা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে ভাতশালা ঈদগাহ ময়দানে এ নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
পথসভায় দেবহাটা সদর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব (বুলবুল)’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মো. আব্দুর রাজ্জাক’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক ওমর ফারুক, মাহবুবুল আলম, কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তফা আসাদুজ্জামান মুকুল, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম, সেক্রেটারী সাবেক ছাত্রনেতা এইচ এম ইমদাদুল হক, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন, উপজেলা যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, দেবহাটা দক্ষিণ শাখার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশিকুর রহমান, সেক্রেটারী সাঈদ আহমেদ, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. আবুল হোসেন, ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন, ডা. মো. রবিউল ইসলাম, টিম সদস্য মাওলানা দ্বীন মোহাম্মাদ প্রমূখ। এ নির্বাচনী পথসভায় জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণও অংশগ্রহণ করেন।