
প্রধান প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বিল্লাল হোসেন। সুযোগ পেয়েছে ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না এমন ঘটনা ফেসুবকের মাধ্যমে দৃষ্টিতে আসে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক উদ্যোগ গ্রহন করে ১০ হাজার টাকার একটি চেকও তুলে দেন।
বিল্লাল হোসেন সোনাবাড়িয়া গ্রামের আমজেদ আলী ও মা তাসমিন আরা খাতুনের ছেলে। কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কলারোয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বিল্লাল।
বৃহস্পতিবার বিল্লাল হোসেনের ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দিয়ে জেলা প্রশাসকের ব্যবহৃত ফেসবুকে ছবিসহ একটি স্টাটাস আপডেট করেন।
স্টাটাসে জেলা প্রশাসক লেখেন (হুবহু তুলে ধরা হল) সাতক্ষীরা জেলার অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী মোঃ বেলাল হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ভর্তি হতে পারছিল না। এই অবস্থায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। শিক্ষার্থীর হাতে তিনি ১০০০০ টাকার চেক তুলে দেন এবং ভালো ভাবে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনুপ্রেরণা দেন।
জেলা প্রশাসকের ফেসবুক স্টাটাসটি দেখার পর মানবিক এ ঘটনার সংবাদ ও তাদের বর্তমান অনুভূতি জানতে যোগাযোগ করা হয় বিল্লাল হোসেনের পরিবারের সঙ্গে। যোগাযোগ করা হয় জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও। তবে শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন ও তার মা তাসমিন আরা খাতুন কেউই স্বীকারই করলেন না জেলা প্রশাসকের সহযোগিতার কথা।
বিল্লাল হোসেনের মা তাসমিন আরা খাতুন বলেন, বিল্লালের বাবা খুব অসুস্থ। আমি শ্রমিকের কাজ করে বিল্লালকে লেখাপড়া শিখিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সুযোগ পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে বিল্লাল। ভর্তির জন্য ১৫-১৬ হাজার টাকা লাগবে সেটি এখনো জোগাড় হয়নি। অনেকে দিতে চেয়েছেন কিন্তু কেউ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আজ বিল্লালকে একজন সাতক্ষীরায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তবে কোন সহযোগিতা দেয়নি। দেবে বলেছে।
জেলা প্রশাসকের সহযোগিতার কথা মা তাসমিন আরা অস্বীকার করার পর যোগাযোগ করা হয় বিল্লালের সঙ্গেও। বিল্লাল হোসেন বলেন, ভর্তির জন্য টাকার প্রয়োজন। অনেকে দিতে চেয়েছে তবে এখনো দেয়নি।
ভর্তির জন্য আর কতটাকা প্রয়োজন এমন প্রশ্নে বিল্লাল জানায়, বিভিন্ন মানুষ এখন পর্যন্ত সাত হাজার টাকা দিয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) নাহিদ নামের একজন সাতক্ষীরায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু কোন সহযোগিতা করেনি। করবে বলেছেন।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল জানান, ফেসবুকে দেখে তাকে সহযোগিতা করেছি। তার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।