আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে ভিলেজ ইনিটগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশান (ভিডা) সংস্থার বিরুদ্ধে কর্মীদের ভাতার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সংস্থার কর্মী আসমা খাতুন বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্র ও ভুক্তভোগি কর্মীরা জানান, বাদী বাঁকড়া গ্রামের মেহেদী হাসানের স্ত্রী আসমা খাতুন এবং ভিডার অপর কর্মীবৃন্দ লিপিকা, মর্জিনা খাতুন, রজনী সরকার, ডলি বালা, রহমত, রাজিয়া ও আঁখি প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে ভাতার চুক্তিতে ভিডার কাজে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। গত ১ জানুয়ারী ২৪ তারিখ হতে নিয়োগ পেয়ে তারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিডি উপকারভোগিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, ভিডার পরিচালক মো. মাহবুবুল ও সুপারভাইজার নবাব আলী তাদের কাজ পরিদর্শন ও দেখভাল করে থাকেন। শুরু থেকে ভিডার কর্মকর্তারা মাস শেষে কর্মীদেরকে ৫০০০ টাকা করে ভাতার টাকা না দিয়ে কখনো ২৫০০ টাকা, কখনো ৩০০০ টাকা ও কখনো ৩৫০০ টাকা করে দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তাদেরকে প্রতারনামূলক ভাবে ভাতা বাবদ প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। টাকা তাদের মোবাইলে পাঠানো হয়ে থাকে এবং কোন সহি-স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয় না। দায়িত্ব পালনকারীরা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও সীমিত ভাতার টাকা থেকে বড় অংকের টাকা কেটে নেওয়ায় যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তেমনি পরিবারের কাছে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হচ্ছেন। যে ভাতা তাদের দেওয়া হয়েছে তার বড় অংশ তাদের যাতয়াতে ব্যয় হয়ে যায়। এতে প্রতারিত হয়ে তারা কাজে মনোনিবেশে দ্বিধাগ্রস্থ হচ্ছেন। সংগত কারনে, প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে, কেটে রাখা টাকা আত্মসাৎ করলেও কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। কেটে নেওয়া ভাতার টাকা সংস্থার ফান্ডে রেখে অব্যয়িত হিসাবে ফেরত দেওয়া বিধি সম্মত নয় কি? কিন্তু তা না করে কেটে রাখা টাকা কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন এবং একজন কর্মকর্তাকে খুশি রাখতে বকশীস হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে বলে জানাগেছে। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, ভাতার টাকা কেটে রাখা হচ্ছে কেন? কর্মীদের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব যাদের তারা নিতে না পারলে কর্মে অবহেলা ও অক্ষমতার জন্য উল্টো তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি? অভিযোগকারীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন প্রতিবাদের চেষ্টা করলেও নানা কথা বলে থামিয়ে রাখা হয়েছে। বাধ্য হয়ে তারা গত অক্টোবর মাসের ২২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন, কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি। একমাস অপেক্ষার পর বাধ্য হয়ে গত ২১ নভেম্বর মহা পরিচালক ও উপ পরিচালক এবং জেলা প্রশাসক বরাবর পুনরায় প্রতিকার প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে ভিডার সুপারভাইজার ও পরিচালকের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ দেখাতে থাকে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, ভিজিডি উপকার ভোগিদের প্রশিক্ষণের জন্য তাদেরকে নিয়োগ দেয় ভিডা। প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে মাসে ২০/২২ দিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ৫০% এর বেশী কাজ করেননি। এছাড়া একজনের বাচ্চা থাকায় ঠিকমত কাজ করতে পারেননি। এজন্য ভাতার টাকা কম দিয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
ভিডা সংস্থার বিরুদ্ধে কর্মীদের আড়াই লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!
পূর্ববর্তী পোস্ট