সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলায় প্রচুর সম্ভবনা ও সুয়োগ থাকা সত্বেও প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতার অভাবে এ অঞ্চলে কোথাও বৈঞ্জনিক পদ্ধতিতে আজও কোন ডেইরি ফার্ম গড়ে উঠেনি। সাগর উপকুলবর্তী এ অঞ্চলে আদিকাল থেকে গরু মহিষের প্রাচুর্যতা বিদ্যমান ছিল। উপজেলায় আদিকাল থেকে দেশী এবং অন্নুত জাতের গবাদি পশু পালন ও কৃষি কাজে ব্যবহার করে আসছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষক ও গৃহস্থরা গরু মহিষ পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।ফলে আশাশুনি এলাকায় গরু মহিষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। জমি চাষাবাদের জন্য গরু মহিষের প্রয়োজন সর্বাধিক গুরুত্ব পূর্ণ। তাছাড়া গরু মহিষ থেকে দুধ ও মাংসের চাহিদা পুরন হয়ে থাকে। গরু মহিষের চামড়া বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈধেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু উন্নত জাতের চাষ প্রনালী ও স্বাস্থ্য সম্মত সুষম খাদ্যের অভাবে গরু মহিষের সংখ্যা বৃদ্ধি না পেয়ে দিন দিন কমে যাচ্ছে। সমুদ্র উপকুলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক দুযোর্গে প্রতি বছর বহু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়ে থাকে। তাছড়া বিভিন্ন রোগে প্রতি বছর হাজার হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়ে থাকে। উপজেলা সদরে ভেটেনারি ডিসপেনসারি অবস্থিত। এই ডিসপেসারিতে গরু দেখাতে নিয়ে আসলে ডাক্তারকে ফিস দিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গবাদি পশুহাসপাতালে যে সরকারি ঔষধ জনসাধারনের জন্য দেওয়া হয় তা ব্যক্তি গত কাজে ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগ রয়েছে ডাক্তারকে ঠিকমত অফিসে পাওয়া যায় না। বাড়তি উর্পাজনের জন্য তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। উপজেলার কৃষকদের কৃত্রিম প্রজননের আগ্রহ থাকলেও গর্ভবতী গাভী ও বাছুরের পরিচর্যা জন্য উপযুক্ত ঞ্জান না থাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক কৃত্রিম প্রজননের বাছুর মারা যায়। সরকারি ভাবে বেকার যুবকদের ডেইরি ফার্মে উৎসাহিত ও আর্থিক সহযোগিতার কথা বলা হলেও নিয়মাবলীর জটিলতার কারনে অনেকেই নিরুৎসাহিত হচ্ছে। গরু মোটা তাজা করন প্রকল্পে ব্যাংক ও এনজিও প্রতিষ্টান ঋন দিয়ে থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারনে এলাকার বেকার যুবকরা ঋন পাচ্ছে না।শুধু আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নে বেসরকারি ভাবে কয়েকটি ডেইরি ফার্ম গড়ে উঠলেও শুধু আর্থিক দৈন্যতার কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধহাটার একজন ডেইরি ফার্ম মালিক বলেন ডেইরি ফার্মের, উপর কয়েকটি কোর্স করেছি, বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি, ঋনের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু কোন জায়গা থেকে যথোপোযুক্ত সাড়া মেলেনি। গবাদি পশুর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ও গবাদি পশুর চাষ লাভ জনক পেশা হিসেবে নিশ্চিত করতে হলে সহজ শর্তে ঋন মঞ্জুরসহ উন্নত জাতের প্রজনন প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা, সুষম খাদ্যেও সহজ প্রাপ্যতা এবং রোগ প্রতিরোধের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজ করতে হবে বলে অভিঞ্জ মহল মনে করেন।
সম্ভবনা থাকা সত্বেও আশাশুনিতে গড়ে উঠেনি ডেইরি ফার্ম
পূর্ববর্তী পোস্ট