
আরিফুল ইসলাম আশা: আশাশুনির নওয়াপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর নাম সাবিনুর খাতুন (৩৩) তিনি আশাশুনি উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলী সরদার এর স্ত্রী। আহত গৃহবধূর স্বামী আশাশুনি উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মো. নুর মোহাম্মাদ সরদার এর ছেলে মো. ইয়াছিন আলী সরদার (৩৫) জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর দু’টোর দিকে আমি বাড়ী হইতে হিজল ডাঙ্গা রওনা করে পার্শ্ববর্তী আবুল গাজীর ছেলে আকরাম গাজী (৫৫), আকরাম গাজীর ছেলে সুমন গাজী (২২) আকরাম গাজীর বউ মোছা. আম্বিয়া খাতুন (৪৫) সহ আরও দুই – তিন জন ধারালো চাকু লোহার রড বাঁশের লাঠি নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। এসময় তারা আমার গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আমি মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ করার সাথে সাথে তারা আমাকে বেধড়ক পিটায়ে সর্বশরীরে নিলাফোলা জখম করে। আমার ডাকচিৎকারে আমার ৭ (সাত) মাসের গর্ভবতি স্ত্রী সাবিনুর খাতুন (৩৩) ও ছেলে ফাহিম হোসেন (১৫) দ্রুত উদ্ধারে এগিয়ে এলে সুমন গাজী আমার স্ত্রীর তলপেটে লাথি মেরে মারাত্মক আহত করে। তারা আমার ছেলেকেও বেধড়ক পিটায়ে জখম করে। তারা আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে মাথা থেতলিয়ে আহত করে। আমার স্ত্রীর পরনের জামা কাপড় টানিয়া ছিড়ে বে-আব্রু করে ও আমার স্ত্রীর বুকে পেটে পা দিয়ে মাড়িয়ে এবং আমার ছেলেকে পিটাইয়া আহত করে। আমার স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাতরা আমার মটর সাইকেল লোহার রড দিয়ে ভাংচুর করে আনুঃ ৫০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করেন। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মারিতে গেলে আমি ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে উক্ত আঘাত আমার ডান হাতের গোছায় লেগে হাড়ভাঙ্গা যুক্ত জখম হয়। তারা আমার নিকট হারির টাকা ১,০০,০০০/- টাকা নিয়া খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। এসময় আমাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে আমাকে স্ত্রী সহ ছেলেকে চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্স যোগে সাতক্ষীরা সদরে নিয়ে ভর্তি করি। বর্তমানে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমার স্ত্রীর ও তার গর্ভে থাকা ভ্রমণের অবস্থা আশাংকা জনক। এঘটনায় আমি বাদি হয়ে আশাশুনি থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছি। আমি জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আশাশুনি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বিশ্বজিৎ কুমার জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের আটক করতে কাজ করছে পুলিশ।