প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-২০ সম্মেলন। এই সংস্থা বিশে^র শিল্পোন্নত ও ধনী দেশগুলোর সংগঠন। এই সংগঠনে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকা মহাদেশের বড় বড় উন্নত দেশগুলো সদস্য। একদিকে, বিশে^র উন্নত ধনী রাষ্ট্রগুলো অধিক পরিমাণে জ্বালানী ব্যবহার করে কার্বন নি:সরণ করছে। সেই কার্বন দূষণের খেশরাত দিতে হয় তৃতীয় বিশে^র গরিব দেশগুলোর সাধারণ মানুষকে। অপরদিকে, ধনী দেশগুলো থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশসহ দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো কয়লা, ডিজেল ও ফার্নেস তেলাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থাপন করছে। এর ফলে এসব গরিব উন্নয়নশীল দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে অরাজকতা চলছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খরবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে কি পরিমাণ সরকারি অর্থ তছরুপ হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে। জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতে দূর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ এবং জি-২০ সম্মেলনে আগত বিশ^ নেতাদের কাছে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা আলোচনা সভা ও জনসম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়লা, গ্যাস বা হাইডোজেন নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে অর্থায়ন চাইÑএই দাবিতে সাতক্ষীরা ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্ত্বরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ, ক্লিন, বিডব্লিউজিইিডি গ্রোথ ওয়াচ আয়োজিত জনসম্মিলনীতে স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. আজাদ হোসেন বেলাল, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ও নাগরিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাসদ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, ভূমিহীন নেতা আবদুস সামাদ, প্রাক্তন কাউন্সিলার ফরিদা আক্তার বিউটি, নদী-খাল-জলাশয় রক্ষা আন্দোলনের নেতা আদিত্য মল্লিক, মফিজুর রহমান, যুবনেতা হাবিবুল হাসান, বৈশাখী পাল, হরিজন নেতা গৌরপদ দাশ, উন্নয়নকর্মী সাকিবুর রহমান, লুইস রানা গাইন, মহিদা মিজান, সাংস্কৃতিককর্মী মোসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। জনম্মিলনে সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, গ্রামীণ নারী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংস্কৃতিককমী, রোভার স্কাউটস, নারী অধিকারকর্মী, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, পেস্টুন, প্লাকাডসহ মুখোশ পরে জি-২০ নেতাদের কাছে বাংলাদেশর জ্বালানী খাতের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। জনসম্মিলনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে বিগত দেড় দশক ধরে জ্বালানী খাতে অরাজকতা চলছে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ব্যবসার ৮০ শতাংয়শ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর সাথে হয়ে থাকে। এর মধ্যে এশিয় অঞ্চলের ৬টি দেশ থেকে বাংলাদেশ জ্বালানী তেল সংগ্রহ করে। বক্তারা ‘বাংলাদেশে কয়লা, গ্যাস বা হাইডোজেন নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে অর্থায়ন চাই’-দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানী দরকার নেই, আমাদের দরকার-নবায়নযোগ্য জ্বালানী। সেজন্য নেতৃবৃন্দ জি-২০ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিশ^ নেতৃবৃন্দের কাছে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জোর দাবি জানান।