
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার পিরোজপুরে রেকর্ডীয় স্বত্ত্বদখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। সরেনজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, পিরোজপুর মৌজার জে,এল নং ১১৫ এর এস.এ ৭ ও ৮ নং খতিয়ানের সম্পত্তি পিরোজপুর গ্রামের মাজেদ সানার নামে ৫২.৭৯৮ এবং পার্শ্ববর্তী ই¯্রাফিল সরদারের পুত্র আমিরুল ইসলাম এর নামে ৫২.৬৩৬ শতক সম্পত্তি রেকর্ড হয়। উক্ত সম্পত্তি গত ১৫/০৪/২০০৯ সালে স্থানীয় সার্ভেয়ার আঃ বারী গন্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে মাপ জরিপ করে মাজেদ সানার দুই পুত্র মোস্তাফিজুর ও মফিজুর এবং আমিরুল গংদের মধ্যে আপোষে উক্ত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করে দখল প্রদান করেন। সেখান থেকে উভয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে মোস্তাফিজুর ও মফিজুরের অংশে থাকা সম্পত্তি অবৈধ জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে আমিরুল গং। এ বিষয়ে জমির মালিক মাজেদ সানা সহ ৫ জন বাদী হয়ে গত বছর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরায় এক মামলা আনয়ন করেন। যাহার নং ২৩১/২২। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধিন রয়েছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ আমিরুল ইসলাম মাজেদ সানার পুত্রদ্বয় মোস্তাফিজুর ও মফিজুরের অংশের সম্পত্তির কিছু অংশ জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। উক্ত জমি দখলের জন্য আমিরুল ইসলাম মাজেদ সানার দুই পুত্র শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ও শিক্ষক মফিজুর রহমানকে হুমকী প্রদর্শন করে আসছে। এ ঘটনায় মফিজুর ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৩ মে আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং ৫১৯। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ আমিরুল ইসলাম সহ ত্বদীয় লোকজন গত ২৬ মে আমিরুল ইসলাম, তার পুত্র রাব্বী, আনারুল ইসলাম, নূরুল হক সরদার, মইনুর রহমান, বেগম খাতুন মোস্তাফিজুর-মফিজুর এর অংশে পুকুরের মধ্যে খুটি বসিয়ে দখল করতে থাকলে মফিজুরের স্ত্রী হুমায়রা খাতুন বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তাকে হাতুড়ি পেটা ও কিল, ঘুষি মেরে আহত করে। এসময় তার কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে আমিরুল ইসলাম গং উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে জোরপূর্বক খুটি বসিয়ে ও পুকুর পাড়ে থাকা মফিচুরের একটি শিশু গাছ জোর পূর্বক টেনে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। যার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। এ ঘটনায় মফিজুরের স্ত্রী হুমায়রা খাতুন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ আমিরুল ইসলাম জানান, “ওদের (মোস্তাফিজুর-মফিজুর) আর আমার জমি প্রায় সমান। আমি আমার জমিতে খুটি বসিয়েছি ওদের জমিতে কোন খুটি বসায় নি বা কাউকে মারপিট করিনি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থানার পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।