
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের গাছ কেটে পাঁচ লাখ টাকার আসবাবপত্র বানিয়ে ঢাকার আগরগাঁও জামাতার বাসায় পাঠানো সেই উপপরিচালক ড. জামালউদ্দিনকে অবশেষে পাবনায় স্টান্ড রিলিজ করা হয়েছে। গত ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ বদলী করা হয়। সোমবার বিকেলে তিনি সাতক্ষীরা থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ি স‚ত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি নাগাদ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষের পেছন দিক থেকে তিনি মোটা ও সারি দুটি জাম গাছ ও দুটি মেহগনি গাছ কেটে বাসভবনের পাশের একটি ঘরে রেখে দেন। চারটি গাছের দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। পরে ম্যাকানিক সুরত আলী ও তার গাড়ি চালক আমিনুল ইসলামকে দিয়ে পাটকেলঘাটা থেকে মিস্ত্রী কেশব সাধুকে এনে খাট, সোফা সেট, টি টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করেন। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি প্রথম পর্যায়ে একটি খাট, একটি সোফাসেট, একটি সাইড বক্স, একটি টি টেবিল সুরত আলীর মাধ্যমে ভ্যানযোগে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে সাইফুল ইসলাম, আগরগাঁও বিএনপি বাজার, শ্যামলী, ঢাকা তার জামাতার বাসার ঠিকানায় পাঠান। বুকিং স্লিপে প্রেরক হিসেবে ড. জামালউদ্দিনের নাম লেখা হয়। বুকিং খরচ নেওয়া হয় ২০৭০ টাকা। জামালউদ্দীনের বাসায় ১টি বক্স খাট, তিনটি সোফা সেট ও কয়েকটি টেবিল রয়েছে যা তিনি পর্যায়ক্রমে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। একপর্যায়ে পরিচালক ফরিদুল হাসান (পরিচিতি নং ১৬৩৮) গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. জামালউদ্দিনকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ব্যাখা চেয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠান।
পরবর্তীতে তদন্তে আসেন খামারবাড়ি বাগেরহাট ও যশোরের উপপরিচালক। তদন্তকালে তিনি কতিপয় সাংবাদিককে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ম্যানেজ করে নিজে বাঁচার চেষ্টাও করেন। সাতক্ষীরা খামারবাড়ির বিদায়ী উপপরিচালক ড. জামালউদ্দিন তাকে পাবনায় বদলী করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।