
প্রধান প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১, ২০৩০, ২০৪০ সালের পর ক্ষুধা ও দরিদ্র মানুষ বাংলাদেশে খুজে পাওয়া যাবে না। ক্ষুধা ও দারিদ্র মানুষ দেখতে গেলে তথন জাদুঘরে যেতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী প্রচারণায় পুলিশ সুপার কাপ মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ.মহিদ উদ্দীন।
তিনি বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদকের ঠাঁই খুলনা বিভাগে হবে না। জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকে না আপনারা ফুটবলকে হ্যাঁ বলুন।
অনুষ্ঠাণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল তার বক্তব্যে বলেন, পুলিশ বাহিনী আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় অকান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বর্তমান জনবান্ধব ও পুলিশ প্রকৃত অর্থে জনগণের বন্ধু-সেবক। বর্তমান খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি যোগদানের পর সুফল পাচ্ছে সাতক্ষীরাজেলাসহ খুলনা বিভাগের মানুষ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বি এম মোস্তাকিম, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.আশরাফুজ্জামান আশু, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইজি.সিরাজুল ইসলাম খান, ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানসহ আরও অনেকে।
সোমবার বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের আয়োজনে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী প্রচারণায় জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুলিশ সুপার কাপ মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় সাতক্ষীরা জেলা মহিলা দল ও ঝিনাইদহ জেলা মহিলা দল প্রতিযোগিতা করে। ৬-১ গোলে ঝিনাইদহ জেলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌবর অর্জন করে সাতক্ষীরা জেলা দল।
খেলার প্রথমার্ধে বিরতি পর্যন্ত জাতীয় মহিলা দলের সাবিনার সরাসরি পেলান্টি শটের গোলে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা ফুটবল দল ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সাতক্ষীরা মহিলা ফুটবল দল ঝিনাইদহ মহিলা ফুটবল দলের উপর মুহুর্মুহু আক্রমণ করে। দ্বিতীয়ার্ধের ১৭ মিনিটে সাবিনা আক্তারের দ্বিতীয় গোলে সাতক্ষীরা ২-০ গোলে আবারো এগিয়ে যায়। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। কিন্তু ঝিনাইদহ মহিলা দল পাল্টা আক্রমণে গোল পরিশোধ করে ২-১ এ নিয়ে যায়। কিন্তু পরে আর তারা খেলায় ফিরতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ২২ মিনিটে আবার সাবিনা দ্বিতীয় গোল ও দলের তৃতীয় গোলটি করে দলকে এগিয়ে নেয়। খেলা শেষ পর্যন্ত সাতক্ষীরা ৬-১ গোলে জয়লাভ করে। খেলায় সাতক্ষীরার পক্ষে মাসুরা, লিপি ও জনা একটি করে গোল দেয়। খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় জাতীয় মহিলা দলের খেলোয়াড় সাবিনা খাতুন।
খেলা শেষে বিজয়ী দলের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ.মহিদ উদ্দীনসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. নাসিরউদ্দীন। সহকারী ছিলেন আব্দুল গফফার ও আবু ওয়াহেদ বাবলু। চতুর্থ রেফারি ছিলেন মনিরুজ্জামান।
সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে সাতক্ষীরা প্রেসকাব ও মেহেরপুর প্রেসকাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ.মহিদ উদ্দীনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নৈশভোজে অংশ নেন জেলা প্রশাসক, জেলা ও দায়রা জজ মফিজুর রহমান। পরে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।