নিজস্ব প্রতিবেদক,তালা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপদের সম্পত্তি বিক্রিসহ মালিকানা সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকসহ আদালতে মামলা চলমান থাকলে অদৃশ্য কারনে প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের পরিবারের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক জনপদের উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলার কুমিরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দোকানপাট ভাংচুরের কারনে নিঃস্ব হয়ে যায় তিন শতাধিক ব্যাবসায়ী। পরবর্তীতে কুমিরা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী স্কুলের মাঠে একটি অস্থায়ী বাজার নির্মাণ করে দেন। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে প্রকল্প নিয়ে পাশে একটি অস্থায়ী বাজারসহ দুই শতাধিক দোকান নির্মাণ করে দেয়। এ ঘটনার কয়েকদিন যেতে না যেতেই এলাকার কয়েক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দোকান বিক্রি করা শুরু করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
ভুক্তভোগী কোমল রায় নামে এক ব্যাবসায়ী বলেন, তারা প্রায় ৪০বছর ধরে কুমিরা এলাকায় নতুন বাজারের পাশে বসবাস করে আসছিল। এখানে তাদের রের্কডীয় ৩ শতাংশ জমি রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর ক্ষমতায় তার বাড়ির সামনের একটি ঘর জোর পূর্বক ভেঙে দিয়ে দুটি দোকান নির্মাণ করেন। এর কিছুদিন পর সেই দুটি দোকান কুমিরা এলাকার জামাত নেতা আবুল হোসেন ও নাজমুল হোসেনের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রির করেন। তিনি বার বার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তাকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ তার । উপায় না পেয়ে ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে তারা তাকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে বলে জানান তিনি। সুজাউদ্দীন নামে স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা বলেন, বছর তিনেক আগে ২.৫ শতাংশ জমি কিনে কুমিরা এলাকায় ৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করেছিলেন তিনি। মাস তিনেক আগে চেয়ারম্যান আজিজুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার দোকান দখল করে নেয়। পরবর্তীতে মানববন্ধনের চাপে পড়ে আমাকে ৭০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করে। এরপর টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সময়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন সহ সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুমিরা এলাকার আ.লীগ নেতা বলেন, আজিজুর চেয়ারম্যান হ্ওয়ার পরে এলাকার জামাত বি এন পির নেতা সকল সরকারী সুভিদা দিচ্ছে। এছাড়া ভাল মানূষকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে তাদের ভাতার সুভিদা দিচ্ছেন । বর্তমানে সরকারী দলের লোক বাদ দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী পোষার জন্য তিনি সরকারী সহযোগিতার সকল কার্ড জামাত বিএন পি দের দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তার । বিষয়টি নিয়ে কুমিরা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি সঠিক বলে স্বীকার করেন ।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, তিনি কারো কাছে দোকান বিক্রি করেননি। জনগণের সুবিধার জন্য নিজের টাকা ব্যয় করে বাজার করে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি কোন জামাত বিএনপিকে প্রশ্রয় দেন না বলে দাবী তার।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান অভিযোগ পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।