
আহাদুর রহমান জনি:
বঙ্গবন্ধু কন্যা সাহসিকতার সাথে দূর্বার গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যিনি ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাড় করিয়েছেন বিশ্বের মানচিত্রে। বাংলাদেশ বিভিন্ন ভাবে নন্দিত। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন পরিচিত। সেই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই স্বাধীনতার মাসে আমরা গর্ববোধ করি। অহংকার বোধ করি। সুন্দরভাবে এই কনসার্টটি উপভোগ করবো। মানুষআজ উৎসব উৎযাপন করতে আসছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সমর্থক গোষ্ঠীর উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কথাগুলো বলেন সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
আমরা মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে পেরেছি তাই আমরা গর্বিত জাতি। মহান স্বাধীনতার মাসে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গর্বিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করেছি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করেছি। জন্মশতবার্ষিকীতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা বাংলাদেশে এসছিলেন।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশে^র দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা সকলের সামনে তুলে ধরতে এবং তৃণমূল নেতৃবৃন্দদেরকে বিনোদন দিয়ে উজ্জীবিত করতে জনসভা ও জয় বাংলা কনসার্ট।”
যারা পথ হারিয়ে বিপথগামী হয়ে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করে মিথ্যাচার করে সাধারণ শান্তিকামি মানুষকে বিপথগামী করছেন তাদেরকে বলবো আল্লাহর ওয়াস্তে আর কোন বিভ্রান্তি সৃষ্ঠি করবেন না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে আপনারা রাজনীতিকে কলুষিত করছেন। এলাকাকে উত্তপ্ত করছেন। সে উতপ্তের কারণে উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি হয়। আমরা সাতক্ষীরাকে শান্ত সাতক্ষীরা বানাতে চাই। উগ্রবাদীদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
জনসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘ মার্চ মাসকে যথাযথভাবে পালন করার লক্ষ্যে আজকের এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি যাদের আস্থা রয়েছে বিশ্বাস আছে, সেই তৃণমূল নেতৃবৃন্দকে আনন্দ দেওয়ার লক্ষ্যে আজকের এই আয়োজন। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আস্ফালন করে আত্মস্বীকৃত খুনিরা বলেছিলো কখনো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না। যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের ওপর অত্যাচার করেছিলো, ঘর বাড়ি জালিয়েছিলো, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হত্যা করেছিলো রাজাকার আলবদর আল-শামস এবং যারা তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলো তাদের বিচার হবে না। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরে ক্ষমতায় আসলেও তাদের বিচার শেষ করতে পারেন নাই। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করতে করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। তারপর আবার বিচার কার্য শুরু হয়।
জনগনকে সতর্ক করে তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো, মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছিলো তাদের ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রমান করেছেন কোন কিছুই বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হতে পারেনা। তাদেরই সন্তানরা বিদেশে বসে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে চায়। সেই মানসিকতা ধারণ করে তারা ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা স্বত্ত্বেও এই অঞ্চলের মানুষ রাস্তা কেটেছে গাছ কেটেছে। নিরীহ ১৭জন মানুষকে তারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। সে বিচার কাজ কিন্তু এখন চলছে। ’