
সাতনদী ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট উত্তরনে সরকারের পাশাপাশি জনসাধারনকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বে সোচ্চার ভূমিকা নিয়ে থাকেন। সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (এসএসিসিজেএফ) নানামূখি উদ্যোগ জলবায়ু সংকট উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল এগারটায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম,এ মান্নান উপরোক্ত বক্তব্য দেন। সংলাপ সঞ্চালনা করেন (এসএসিসিজেএফ) এর নির্বাহী সভাপতি ও এটিএন বাংলার কারেন্ট এ্যাফিয়ারস এডিটর কেরামত উল্লাহ বিপ্লব। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান আব্দুস সালাম। সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
বিশেষজ্ঞ মতামত দেন বিএমইটি এর মহাপরিচালক মোঃ আতিকুজ্জামান। উন্মুক্ত মতামত দেন দৈনিক সাতনদীর প্রকাশক ও সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
পরিকল্পনামন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতীয় এ সংলাপের গুরুত্বপূর্ণ সব সুপারিশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান তার নীতি নির্ধারনী মতামতে বলেন, “সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ মতামত উঠে এসেছে। সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধার সুপারিশ গুরুত্ব দেয়া হবে। ”তিনি সংলাপের সুপারিশ সমূহ তার মন্ত্রনালয়ে প্রেরণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
বিশেষজ্ঞ মতামতে অধ্যাপক ডঃ আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণ করে বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় তিনি পথ দেখিয়ে গেছেন। আমাদেরকে কার্যকরী ও বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নিতে হবে।
জনশ´ি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর মহা পরিচালক শহিদুল আলম এনডিসি তার মতামতে বলেন, জলবায়ু সংবকট মোকাবেলায় সরকারকে নানামূখি পদক্ষেপ নিতে হবে। সব মানুষকে এই সংকট মোকাবেলায় দায়িত্ব নিতে হবে। সব সেক্টরের মানুষকে যদি সম্পৃক্ত করা যায় সে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে হচ্ছে শহরমূখি। এবং একটি অংশ যাচ্ছে প্রবাসে। বছরে ৭০ হাজার মানুষ প্রবাসে যাচ্ছে। তারা শ্রমের নায্য মজুরি পচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যেসব দেশের কারণে এদেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তারাও এসব মানুষের দায় নিচ্ছে না। তারা যাতে দায়িত্ব নেয় সে ব্যাপারে তাদেরকে বলতে হবে। বাংলাদেশকে সোচ্চারভাবে তাদের দাবি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে। এই সংকট মোকাবেলার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোকে যাতে দায়িত্ব নেয় সেব্যাপারে দায়িত্বশীলদের কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারকে সোচ্চারভাবে দাবীগুলো বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে।