নিজস্ব প্রতিবেদক: তালার পাটকেলঘাটা সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তৈলকুপী, যুগিপুকুরিয়া, পুটিয়াখালী, কাশিপুর, নগরঘাটা কোমরপুর গ্রামে যেয়ে এনজিও কর্মী পরিচয়ে গরু কেনার লোন করিয়ে দেওয়ার নামে জামানত দেওয়া লাগবে বলে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। ব্রাকের নামে প্রতারনাকারী সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর গ্রামের নুর ইসলামের কন্যা রোজিনা খাতুন ও তার সহযোগী তালা থানার হাজরাকাঠি গ্রামের অরবিন্দু বিশ্বাসের কন্যা বন্ধনা বিশ্বাস দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় তিন শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী পঁচাশি জন পাটকেলঘাটার তৈলকুপী গ্রামের প্রান্তিক কৃষককে গরু ক্রয়ের লোন ও নগরঘাটা গ্রামের ১৩০ জন সদস্যের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা লোন দেওয়ার নামে ব্রাক এনজিও কর্মী পরিচয়ে জামানত সংগ্রহ শুরু করে। তৈলকুপি গ্রামের মান্নান মোল্লার স্ত্রী রোজিনা খাতুন এর উঠানে বসে এক পর্যায়ে পঁচাশি জন প্রান্তিক কৃষককে রাজি করিয়ে জনপ্রতি ৩ হাজার ১শত টাকা করে মোট ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫ শত টাকা প্রতারণা করে কাউকে লোন না দিয়ে ওয়াদা করতে থাকে। এবং রোজিনা খাতুনের স্বামী মান্নান মোল্লাকে ১০ লক্ষ টাকা হাউজ লোন করিয়ে দেওয়ার জন্য আরো ১লক্ষ টাকা জামানত চেক প্রদান করে। পরে চেকটি নিয়ে প্রতারণা করতে থাকেন তিনি। এনজিও কর্মীদ্বয়ের দেওয়া চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে দাখিল করলে প্রতারকদের প্রতারণা সামনে আসে। ভুক্তভোগীরা এনজিও কর্মিদ্বয়ের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে। উপায়ান্ত না পেয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতের শরনাপন্ন হয়ে বিজ্ঞ আমলি ০৬ নং আদালত সাতক্ষীরা তিনজনকে আসামী করে ১৫/১১/২২ তারিখে সি আর মামলা নং ৩১০/২২ দায়ের করেণ। এনজিও কর্মী পরিচয়ে এরুপ প্রতারণায় এলাকার সুশীল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাটকেলঘাটায় এনজিও-র নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থলোপাট
পূর্ববর্তী পোস্ট