
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার হাজরাখালী গ্রামের (বর্তমান সাইহাটিতে বসবারকারী) ছাত্তার গাজীর কন্যা হুমায়রা পারভিন সাথী স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে ব্র্যাকে অভিযোগ করেও স্বামীর নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। সোমবার (২৮ মার্চ) ব্র্যাকের শালিস শেষে রাস্তায় গেলে স্বামী রায়তুল্লাহ হুময়রাকে পিটিয়ে আহত করে।
নির্যাতিতা হুমায়রা ও তার মা জানান, ৩ বছর পূর্বে হুমায়রার সাথে চেউটিয়া গ্রামের জিয়াদ আলি সরদারের ছেলে রায়তুল্লাহর বিয়ে হয়। মেয়ে কলেজে লেখাপড়া করে ও ছেলে কোম্পানিতে চাকুরি করায় শ্বশুর বাড়িতে থাকা হয়নি। এক পর্যায়ে তারা ঢাকায় বসবাস করে। বিয়ের পর থেকে চাকরী, গরুর খামার করা ও বাড়ি করার কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা নেয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় করোনার জন্য কাজ নেইসহ বিভিন্ন কথা বলে আরও টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতিমধ্যে স্ত্রী গর্ভবতী হয়। তখন সন্তান নষ্ট করতে চাপ দিতে থাকে রায়তুল্লাহ। হুমায়রা রাজী না হওয়ায় বেদম মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেয় সে। তার পিতামাতা জানতে পেরে মেয়েকে গ্রামে আনেন। পিত্রালয়েই তার কন্যা সন্তান মারিয়াহ’র জন্ম হয়। তার বয়স এখণ ১০ মাস। কিন্তু স্বামী রায়তুল্লাহ সেই থেকে স্ত্রী ও সন্তানের খোজ খবর নেয়নি, কোন যোগাযোগও রাখেনি। বাধ্য হয়ে হুমায়রা ব্র্যাক আশাশুনি অফিসে ১৫/১৬ দিন পূর্বে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে নোটিশ করলে রবিবার (২৭ মার্চ) তারা তদন্ত অনুষ্ঠানে যান। রায়তুল্লাহ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। দু’পক্ষের কথা শুনার পর এদিনের মত শালিস মূলতবি করা হয়। ব্র্যাক থেকে বেরিয়ে তারা রাস্তায় পৌছলে রায়তুল্লাহ সন্তান কোলে থাকা স্ত্রীকে মারপিট, পেটে লাথি মেরে আহত করে। শ্বাশুড়ি ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে মোটর সাইকেল যোগে রায়তুল্লাহ কেটে পড়েন। হুমায়রাকে আশাশুনি হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান জানান, অসহায় স্ত্রী হুময়রার দুর্দশান কথা শুনেছি। ব্র্যাকে শালিস ছিল সেখানে একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে এ বিশ্বাস আমার ছিল । শালিস শেষ না হতেই পথিমধ্যে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে মারপিটের ঘটনা সত্যি দুঃখ জনক ও অমার্জনীয় অপরাধ। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেন, অপরাধ করে বাচা যায়না। স্ত্রী ও সন্তানের সাথে ধিক্কার জনক ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইন আদালতে অবশ্যই ন্যায় বিচার হবে।