
আহাদুর রহমান (জনি): দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনায় সমালোচনায় থাকা ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস্ এ্যাসোসিয়েশন (ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন) এর বহু প্রতিক্ষিত নির্বাচন আগামী ১১ জানুয়ারি। ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে বিস্তুর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন ৩রা ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত স্থগিত করে রুল জারি হয়েছে। তবে রুলের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারি জানানো সম্ভব হবেনা বলে জানান ভোমরা কাস্টমস্ সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কমিশনার আলহাজ্ব এইচ এম আরাফাত।
২ ডিসেম্বর’ ২১ খ্রিঃ গঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন কমিশন গত মাসের ২৭ তারিখে মনোনয়নপত্র সরবরাহ করে। বিভিন্ন পদে মোট ২৯ টি মনোনয়ন জমা পড়ে। ২৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ মনোনয়ন পত্রের মূল্য ফি ব্যাংকে জমা করেননি নির্বাচন কমিশনা। তারা আরও অভিযোগ করেন যে ৪ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তাদের মনোনয়ন পত্রের মূল্য ফি ফেরৎ দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ভোমরা কাস্টমস্ সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কমিশনার আলহাজ্ব এইচ এম আরাফাত সাতনদীকে জানান, যে ৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন তাদের মনোনয়ন পত্রের মূল্য ফি স্বাক্ষর করে ফেরত নিয়েছেন। তবে সদস্য প্রার্থী রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীকে মনোনয়ন পত্রের মূল্য ফি ফেরত নেওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি এখন তা উত্তোলন করেননি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চ‚ড়ান্ত। নির্বাচন কমিশন কি করবে এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার।নির্বাচন সম্পন্ন হবে ১১ তারিখে। এসব কার্যক্রম হবার কথা ১১ তারিখের পরে। আমাদের নির্বাচন কমিশনের একটা রেজুলেশ আছে। এ জাতীয় অর্থ গুলো আমাদের সম্মানি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন একটি রেজুলেশনে এই টাকা গুলো আমাদের একাউন্টে রাখা হয়েছে। নির্বাচন শেষে আমরা তিনজন এক চেকে সই করে সম্মানি নেব। তবে কত পার্সেন্ট নিব তাও রেজুলেশন করা হয়েছে। যেহেতু ওটা আমদের অনারিয়াম হিসেবে দিবে। এটা আমাদের ব্যপার।
এদিকে সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন মনোনয়ন দাখিল থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দের তালিকা পর্যন্ত তাকে ১নং সিরিয়ালে রাখা হয়েছে। কিন্তু নমুনা ব্যালটে তার নাম ও প্রতীক ২য় স্থানে ছাপা হয়। তিনি অভিযোগ করে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাকে ২য় স্থানে রাখা হয়েছে।
এনিয়ে কথা হলে নির্বাচন কমিশনার মি. আরাফাত সাতনদীকে জানান, আমি খুলনায় ছিলাম। আমাদের নির্বাচন কমিশনের সদস্যকে জেলা নির্বাচন অফিসে ব্যলট পেপারের নির্দেশনা নিতে পাঠিয়েছিলাম। নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়েছে এটা বর্ণক্রম অনুযায়ী সাজানো হয়। সে মোতাবেক নমুনা ব্যলট পেপারে তার নাম ও প্রতীক ২য় স্থানে গিয়েছে। যার নামের অক্ষর আগে আসবে তারটাই আগে যাবে। এটা নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে এবং আইনের লঙ্ঘন হবেনা।
মি. আরাফাত জানান আজ জানতে পারলাম বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত হয়েছে বলে আমরা জনাতে পেরেছি। তবে রুলটা না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। রুলটা পেলে সব জানানো সম্ভব হবে।