
নীরব ভূমিকায় ছিলেন নির্বাচনে কর্তব্যরত ম্যাজিষ্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টরা;
নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল সকালে নির্বাচনী সহিংসতায় সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী বৈকারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলেসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। একটি অপশক্তি নৌকার প্রার্থীর ওপর এ হামলা চালায়।
আহতদের সূত্রে জানা যায়, খলিলনগর ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হামলার শিকার হন বৈকারী ইউনিয়নে নৌকার প্রাথী আসাদুজ্জামান অসলে। এসময় আহত হন নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান ওছলে, তার ছেলে জহির রায়হান হৃদয়সহ আরও ৬ জন।
আসাদুজ্জামান অসলের উপর হামলার সংবাদ জানার পরপরি সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সদর হাসপাতালে ছুটে ান। তিনি তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। আহত অন্যান্য নেতা-কর্মীদেরও দেখতে যান তিনি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অসলের উপর যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতারের দাবী জানান।
সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী অসলের সমস্ত শরীরে আঘাত করা হয়েছে। তার হাত, পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। তার সমর্থকদেরকে নির্বাচনী মাঠ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। অসলের ছেলের অবস্থাও আশংকাজনক বলে তিনি জানান।
এদিকে বৈকারীতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকদের অভিযোগ তারা হামলার ঘটনা বার বার জানানোর পরও অভিযোগ আমলে নেয়নি ইউনিয়নটিতে শৃংঙ্খলারক্ষার দায়িত্বরতা। অপরদিকে একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করে জানান, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদে বসে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে বাধা দিচ্ছিলেন। সে সুযোগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্বল্প দূরত্বেই নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় পরিষদের বারান্দায় বসা ম্যাজিষ্ট্রেটকে সাংবাদিকরা হামলার ঘটনা জানালেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখেননি তারা। উল্টো তাদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় আনার চেষ্টা করেন।