
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটিতে সড়ক নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেবল ২/৩ নং ইট নয় বরং আমা ইটের ব্যবহার ও বেডে কাদামাটি যুক্ত বালির ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী বাধা দিলেও শেষ রক্ষা না হওয়ায় এলাকার মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছেন।
শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বসুখালী সালাম গাজীর বাড়ি ভায়া শালখালী ইস্কন মন্দির সড়কটি খুবই জরুরী একটি সড়ক। এলাকার মানুষ সড়কের দুরাবস্থার কারনে খুবই কষ্ট ভোগ করে এসেছেন। অনেক চেষ্টা তদবিরের পরে এক বছর আগে সড়কের কাজে হাত দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৫.২ কিঃমিঃ সড়কের কাজে কত টাকা বরাদ্দ তা এলাকার জন প্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তি এমনকি কাজের সাথে জড়িত সাব ঠিকাদার ও ম্যানেজার পর্যন্ত জানেননা। এক বছর আগে কাজ শুরু হলেও এপর্যন্ত কাজের তথ্যবোর্ড স্থাপন করা হয়নি। কাজের তথ্য গোপনে রেখে অনিয়ম করে কাজ করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। এলাকাবাসী জানান, যখন রাস্তার নিচে (বেডে) বালির কাজ করা হয় তখন বালির পরিবর্তে কাটামাটিতে লেপটানো বালির ব্যবহার করা হয়েছিল। বাধা দিলেও মানা হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান। বর্তমানে রাস্তার খোয়ার ব্যবহারের কাজ চলছে। কাজে কিছু ১নং ইট ব্যবহার করা হলেও মাঝে মধ্যে ২/৩ নং ইট ও একেবারে আমা ইট এনে দ্রæত খোয়া ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে রোলার করা হচ্ছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) সড়কের একটি বড় অংশে আমা ইটের খোয়া ব্যবহার করে রোলার করা হয়। এলাকাবাসী বাধা দিলেও উপরে তাদের লোক আছে কোন কাজ হবেনা এমন বাক্য ছেড়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন পুনরায় নতুন করে আমা ইটের চালান এনে খোয়া ভাঙ্গার কাজ করা হচ্ছিল। হাজার খানেক ইট ভাঙ্গার পর এলাকার লোকজন বাধা দিলেও শোনা হয়নি, পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উদয় কান্তি বাছাড় উপস্থিত হয়ে খোয়া ভাঙ্গা বন্ধ করে দেন এবং ইট ফেরৎ দিতে বলেন। তখন কাজ বন্দ রাখা হলেও এদিন বিকালে একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখেন আমা ইটের খোয়ায় রাস্তার কাজ করা হয়েছে। আরও আমা ইট ভাঙ্গা হয়েছে এবং বাকি ইটগুলো ভাঙ্গার জন্য পাশে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় মোসলেউদ্দিন (৫৫) জানান, আমার বয়সে আমি এরকম রাস্তা দেখিনি। রাস্তার উপর দিয়ে একটি ভ্যান গেলেও ইট গুড়ো হয়ে যাচ্ছে। তিনিসহ কয়েকজন খোয়া হাতে নিয়ে আঙ্গুল দ্বারা চাপ দিলে গুড়ো হতে দেখে সবাই হতবাক হয়ে যান।
ইউপি সদস্য উদয় বাছাড় জানান, আগেও একবার অনিয়মের প্রতিবাদ জানানোর পর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ভাল ইট এনে কাজ করা হয়েছিল। আজ (রবিবার) আমা ইটের খোয়া ভেঙ্গে কাজ করছিল, আমরা প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। রাস্তায় আমা খোয়া ফেলে রোলার করা হয়েছে। সব উঠিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এখনো উঠানো, আমা ইট বা খোয়া সরিয়ে নেওয়া হয়নি।
এব্যাপারে থানা ইঞ্জিনিয়ার আক্তার হোসেনের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চেষ্টা করা হলেও বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।