
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা, হাজিপুর ও নারায়ণপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে চরম অসুবিধায় পড়েছে এলাকাবাসী। এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচল। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
জানা গেছে, এ রাস্তাটি দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার পথে ওই গ্রামের প্রভাষক মুতহারুল ইসলাম ও আব্দুল রাজ্জাকের মালিকানায় দুইটি বড় পুকুরের পার্শ্ব দিয়ে চলে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে পাথরঘাটা, হাজিপুর, নারায়ণপুর, আমতলাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ নিয়মিত চলাচল করে। এলাকার কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত ফসল এ পথ দিয়ে এলাকার বৃহৎ হাট ঝাউডাঙ্গা বাজারে নিয়ে গিয়ে কেনা-বেচা করে। এ ছাড়া এলাকার শত শত শিক্ষার্থী এ সড়ক দিকে ঝাউডাঙ্গা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝাউডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা, ঝাউডাঙ্গা কলেজ এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে আসা যাওয়া করে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের ২-৩টি পুকুর রাস্তাটিকে গ্রাস করছে। রাস্তাটি প্রায় ২০ ফুট উপরের পিচের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পুকুরে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পুকুরের রাস্তার অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণ না করায় দিন দিন সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। মূলত রাস্তাটি টার্নিং পয়েন্টে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দিনের থেকে রাতে চলাচলে অনেকের হাত-পা ভেঙে বাড়িতে ফিরতে হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের রহমাতুল্লাহ বলেন, ঝাউডাঙ্গা বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পুকুরে মিশে যেতে বসেছে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে গত শুক্রবার সকালে ইজিবাইকে করে আতœীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে এখানে ইজিবাইক উল্টে কয়েকজন আহত হয়েছে। তারমধ্যে একজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছে।
হাজিপুর গ্রামের কৃষক বিমল বলেন, আমাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে হাটে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। এই পুকুরের স্থানে দুইপাশে গাইড ওয়াল ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, রাস্তা সংস্কার ও পুকুরের বাকি অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি রাস্তাটি সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এলজিইডি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, যাদের পুকুরের কারণে রাস্তাটি ভেঙে হচ্ছে তাদেরই নিজ দায়িত্বে পুকুরের পাড় বেঁধে নিতে হবে। এতে আমাদের কিছুই করার নেই বলে জানান তিনি। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।