গত ২৯ জুলাই ২০২১ তারিখে আপনার পত্রিকায় “প্রবাসী মামার জমি আত্মসাতের পায়তারার অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদের মধ্যে আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃত ঘটনা এই যে, দীর্ঘ ৩০ বছর পূর্বে ১৯৯২ সালের দিকে আমি এবং আমার মামা (মো: জয়নাল আবেদীন) এবং তার ভাইসহ বসে আপোষ মতে বসতভিটা ভাগ করে সেই ভাগ মোতাবেক যার যার অংশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস, গাছ পালা লাগানো এবং স্থায়ী ঘরবাড়ি নির্মান করত: ভোগ দখল আছি। কিছু দিন পূর্বে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে তাদের সীমানা বরাবর লাগানো কয়েকটি মেহগনি গাছ কেটে সীমানার প্রমান নষ্ট করে ফেলে। আমি পূর্বের আপোষ বিভাগ মত ভোগ দখলকৃত পুরাতন ভাঙ্গারী দোকানের ভিতরে ঔষুধের দোকান চালু করতে গেলে তারা বলে যে এই বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসতে হবে। কিন্তু তারপর তারা স্থানীয় কাউন্সিলর জনাব শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন (কালু) ভাইকে এই বিষয়ে শালিস করার কথা বলে তখন কাউন্সিলর সাহেব উভয়কে তার অফিস কক্ষে কাগজ পত্র সহ উভয়ের বক্তব্য শোনেন এবং আমার মামার পক্ষের উকিল সাহেব জনাব মো: মেহেদী হাসান এবং কাউন্সিলর সাহেব দুই জন উকিল সাহেব (জনাব গোবিন্দ চন্দ্র বল্লভ এবং জনাব জি.এম আব্দুল মতিন) এর উপস্থিতিতে সাক্ষরকৃত শালিসের রায় আমাদের উভয়কে দেন যে, ৩০ বছর পূর্বে আপোষ বিভাগ মতে করা ভাগ বর্তমানে আর পাল্টানোর আইনগত সুযোগ নেয়। বিধায় যে যেখানে ভোগ দখলে আছে সে সেখানে ভোগ দখলে থাকবে। সেই সালিশের রায অনুযায়ী আমি আমার জায়গার উপর স্থাপিত ঔষুধের দোকান/গোডাইনসহ আমার জায়গায় আমি পূর্বের মতো (১৩২২৪ ও ১৩২২৩ দাগে) ভোগ দখলে আছি। কিন্তু ২৭-০৭-২০২১খ্রি: তারিখ রাত্র ১:০০ ঘটিকার দিকে আনুমানিক ৩০০০ ইট আমার জায়গার সামনে আমার মামা রাখেন। পরের দিন (২৮-০৭-২০২১ খ্রি: তারিখ) সকাল বেলায় আমি আমার জায়গার সামনে ইট গুলো দেখতে পায় এবং অপসারন পূর্বক রাস্তার অপর সাইটে সরাতে গেলে মাসুম নামের এক ব্যক্তি এসে বাঁধা দান করেন পরবর্তীতে কাউন্সিলর সাহেবকে বললে কাউন্সিলর সাহেব মাসুমকে উক্ত স্থান হতে সরাইয়া দেন। আমি ইট সরাতে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়ায় অবশিষ্ট ইট সরানোর জন্য থানায় অভিযোগ করি। তখন থানা থেকে স্থানীয় ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জকে এই বিষয়ে দায়িত্ব প্রদান করা হলে তিনি সরেজমিনে আসেন এবং বিস্তারিত দেখে শুনে বুঝে আমার মামা জয়নাল আবেদীন এবং তার ছেলে ফিরোজ কে অবশিষ্ট ইট অল্প সময়ের মধ্যে অপসারন করার জন্য নির্দেশ দেন এবং পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশ মতো তারা রাস্তার অপর সাইটে ইট গুলো সরিয়ে রাখেন। মূলত আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সম্পূর্ন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
(মো: নূরুন নবী)
পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ
গ্রাম-ইটাগাছা, পোষ্ট-বাঁকাল
থানা+জেলা-সাতক্ষীরা।
০১৯১৩-৮৯৭৭২৫