
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় ৪ বছর ধরে ক্ষুধা ও রোগ যন্ত্রণায় কাঁতর ভূমিহীন আব্দুর রহমানের সহায়তায় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সহ দেশ বিদেশের অনেকেই এগিয়ে আসছেন। সোমবার দ্বিতীয় দিনেও সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান ও মালেশিয়া প্রবাসীরা। সোমবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ও বিকেলে প্রবাসীরা বিকাশে এ সহায়তা পৌছে দেন। সোমবার সকালে কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী অসুস্থ আব্দুর রহমানের বাড়িতে যান। এসময় তিনি আব্দুর রহমান এর সার্বিক খোঁজখবর নেন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও তাকে নগদ ১ হাজার টাকা ও চাল, ডাল, আলু, তেল, পেয়াজ, রসূনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির একটি প্যাকেজ উপহার দেন। অন্যদিকে, বিকালে কয়েকজন মালেশিয়া প্রবাসী কয়েকজন বন্ধু মিলে তাকে ৮ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেন। উল্লেখ্য, বুধহাটা সরকারি গোরস্থানের পাশে বসবাস করা আঃ রহমান ছোটখাট চাকুরির সুবাধে ঢাকায় থাকাবস্থায় এক দুর্ঘটনায় মারত্মক ভাবে আহত হয়। বর্তমানে তিনি প্রতিবন্ধী সর্বশ্ব হারা হয়ে বিধবা মাকে নিয়ে চার চারটি বছর বিছানায় শুয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সংসার খরচ, চিকিৎসা খরচ যোগানোর কোন উপায় নেই তাদের। তাই এখন অসুস্থতা আর ক্ষুধার যন্ত্রণা তাদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। ক্ষুধার জ্বালার পাশাপাশি রোগ যন্ত্রণায় কাঁতর হয়ে পড়েছে সে। প্রস্রাব করাতে হয় নলের সাহায্যে। যন্ত্রণাদায়ক কারণ হয়ে তার সঙ্গী হয়ে রয়েছে, টয়লেট করা। টয়লেটের কোন মানুষকে দু’টি পা দিয়ে তার পেটের উপরে দাঁড়িয়ে চাপ দিলে তার টয়লেট হয়! এ যন্ত্রণা কেউ কখনো দেখেছেন কিনা তা আমাদের জানানেই। এরিপোর্ট গত রবিবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর গত দুইদিনে বিভিন্ন ব্যক্তি, কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান তার সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। পরিবারের সদস্যরা এবং আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার জানান, তার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হবে। এজন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাইলে ০১৮৭৭৪৩৫১১৮ মোবাইলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।