
আমজাদ হোসেন মিঠু, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরে অবৈধভাবে মাদার নদীর ওয়াবদার বেড়িবাঁধ কেটে লোনা পানি উত্তোলন করে মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান ও শতাধিক ফসলি জমির ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাহাবুদ্দিন বাবুর বিরুদ্ধে।
উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চী গ্রামে শুক্রবার জুম্মা নামাযের পরে মুসল্লীবৃন্দ পানিতে দাড়িয়ে মানব বন্ধন করেন। মানব বন্ধনে মুসল্লীরা বলেন, ভেটখালী গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আবু নুর আলমের পুত্র আলহাজ্ব মোঃ সাহাবুদ্দীন গাজী বহু বছর পূর্ব থেকে অবৈধ ভাবে মাদার নদী বেড়িবাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে ঘের করে আসছে। প্রতি বছর উত্তোলিত লোনা পানি দ্বারা কালিঞ্চী উত্তর পাড়া জামে মসজিদ, মসজিদের মাঠ, কবর স্থানসহ শত শত ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী সাহাবুদ্দীন গাজীকে বার বার অবগতসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রকার সুরাহা হয়নি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, ভারি বর্ষন ও নদীর ভারি জোয়ারের কারনে মসজিদের মাঠ, কবর স্থান, শত শত ধান্য ফসলের জমি, খাবার পানির পুকুরসহ গাছগাছালি লোনা পানিতে তলিয়ে আছে। তারা আরও বলেন, যদি দ্রুত পানি নিস্কাশন না করা হয় তাহলে কেহ মৃত্যু বরন করলে মাটি দেওয়ার জায়গা পাওয়া যাবে না। করব স্থানের লাশ গুলো ভাসবে এবং আসছে ঈদুল আযহায় মসজিদের মাঠে পানি থাকায় নামায আদায় করা সম্ভব হবে না। মুসল্লীবৃন্দ মানব বন্ধন থেকে দ্রুত অবৈধ পানি উত্তোলনের পথ বন্দ এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহাবুদ্দীন গাজী বলেন , আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা। আমার পাইপ দিয়ে কোন সময় এলাকা প্লাবিত হয় না। মসজিদের মাঠ ও করব স্থান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে। তাছাড়া লোনা পানি উত্তোলনের জন্য আমার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট থেকে লিখিত অনুমতি আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস.ও মাসুদ রানা বলেন , লোনা পানি উত্তোলনের জন্য কোন অনুমতি আছে কিনা জানি না। যদি থাকে তাহলে বহু বছর পূর্বে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে নেওয়া। বিষয়টি আমি নজরে নিয়েছি। দ্রুত স্থানীয় চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে লোনা পানি উত্তোলনের পাইপটি বন্দ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার সহকারী কমিশার (ভূমি) মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।