
নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজার, পূর্ব ও পশ্চিমপাড়া সহ কুল্যা গ্রামের কয়েক শত পরিবার বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নদীর পলিতে ভরাট হয়ে গেছে বুধহাটা পূর্ব পাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ¯øুইস গেট। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে বুধহাটা বাজার সংলগ্ন বেতনা নদীর পশ্চিম পাশে একটি ¯øুইস গেট নির্মাণ করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ¯øুইস গেট নির্মাণের পরে দীর্ঘদিন খালে জোয়ার ভাটা না করানোর ফলে সদ্য নির্মাণাধীন ¯øুইচ গেটের সামনের অংশ পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। এ খালটি দিয়ে বুধহাটা পূর্ব পাড়া, পশ্চিম পাড়া, বুধহাটা বাজার সহ কুল্যা গ্রামের কুলতিয়া মোড় এলাকার বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু ¯øুইচ গেটের সামনের অংশে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ার পানি নিষ্কাশন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে বুধহাটা পূর্ব পাড়া খাল সংলগ্ন বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন খালে নদী থেকে জোয়ার ভাটা না করানোর ফলে খালের পানি বিষাক্তে পরিনত হয়েছে। ছেলে মেয়েরা খালের পানিতে নামলেই পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু কিছু সময় খালের পানির দূর গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। দূর গন্ধ এতটাই ঝাঝালো যে ঠিকমত নিশ্বাস নিতে পারেন না তারা। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন খাল সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে গরুর খামার ও টয়লেট স্থাপন করায় গোপনে তারা প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা খালে ফেলে থাকে। এতে করে একদিকে যেমন খাল ভরাট হচ্ছে, অন্যদিকে দূষিত হচ্ছে খালের বদ্ধ পানি। বুধহাটা গ্রামের ইউপি সদস্য প্রার্থী হাতেম আলী সাতনদীকে বলেন ¯øুইস গেটের সম্মুখ থেকে অতি দ্রæত পলি মাটি অপসারণ না করলে আগামীতে ভারী বর্ষনের ফলে প্লাবিত হতে বুধহাটা বাজার সহ কয়েকটি এলাকা। এব্যাপারে জানতে চাইলে বুধহাটা পূর্ব পাড়া বøু গোল্ড প্রোগ্রামের সভাপতি রেজওয়ান আলী সাতনদীকে বলেন, এবিষয়ে আমরা দলের সদস্যদের সাথে আলোচনা করেছি। অতিদ্রæত স্থানীয়দের সহযোগিতায় গেটের সম্মুখ ভাগে জমে থাকা পলি অপসারণ করা হবে। তবে সরকারি কোন সহযোগিতা পেলে খালের পলিও অপসারণ করা যেত বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।