হাবিুল্লাহ বাহার, নিজস্ব প্রতিবেদক:- কালিগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক অর্ধশত শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আক্তারুজ্জামান তুহিন (২২)। সে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রহমতপুর তালিমুল কুরআন নুরানী মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক ও একই গ্রামের মোবারক গাজীর ছেলে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ৫ জন স্বাক্ষরিত মাদ্রাসা কমিটিকে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আরবি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিন বিগত ২ বছর যাবত মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিশু ছাত্রীদেরকে তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতো। সেই সুযোগে প্রায় অর্ধশত শিশুকে ছাত্রী ধর্ষণ করেছে বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এই অভিযোগে আরও বলা হয় স্বাক্ষরকারী অভিভাবদের কাছে নির্যাতরে শিকার ২১ শিশু ছাত্রীর রেকর্ড সংরক্ষণ রয়েছে। এঘটনা সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, তালিমুল কুরআন নুরানী মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিন সে র্দীঘদিন এ অপকর্ম করছে। কেউ যদি প্রতিবাদ করতে গিলে তাকে উল্টো সে হুমকি প্রদান করে। লোকলজ্জার ভয়ে অহসায় অনেক পরিবার সর্ম্মানের ভয়ে সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও তারা লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এঘটনায় ওই মাদ্রাসা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক হাসানুর রহমান জানান, আরবি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার। এরপর মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা বিচার বসিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করেন।
মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা ইউনুস আলী জানান, প্রথমে ঘটনাটি শোনার পর বিশ্বাস হয়নি। পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষকরে নিকট জানতে চাইলে তিনি সব কিছু স্বীকার করেন। এরপর কমিটি তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করেন।
তবে তালিমুল কুরআন নুরানী মাদ্রাসার সভাপতি শামছুর রহমান সাফাই গাইলেন লম্পট শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিনের পক্ষেই। তার দাবি তৃতীয় শ্রেণির কোন শিক্ষার্থী ধর্ষিত হয় না। পরবর্তীতে তার ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টাও চালান। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, আপনাদের মাধ্যমে এই বিষয়টি জানতে পেরেছি। অব্যশই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।