
নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির তালিকা প্রণয়ন ও চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন (ইউপি) সদস্য ও বাছাই কমিটির সদস্যদের স্বজনপ্রীতির জন্য ওই চাল বিত্তবানদের ঘরে যাচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ। আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের বুধহাটা, শে^তপুর, নওয়াপাড়া, বেউলা গ্রামের ডিলারের বিরুদ্ধে রয়েছে ওজনে কম দেওয়াসহ চাল না দেওয়ার নানা অভিযোগ। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সময় মতো ডিলারের কাছ থেকে চাল পাওয়া যায় না। জনপ্রতি ৩০ কেজি না দিয়ে মজুদঘরের বাহিরে বস্তার মুখ খুলে কার্ডধারীদের মাঝে ২৫ থেকে ২৭ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। ইউনিয়নের শে^তপুর গ্রামের বাসিন্দা আছমত সরদার বলেন, ২১ থেকে ২২ জনের কার্ডধারীর কার্ডের বিপরীতে ৩০কেজি চাল বিতরন দেখালেও প্রকৃত পক্ষে তারা ১০ কেজি করে চাল পেয়েছে। আজিজুল গাজী বলেন, গত মাসে যারা চাউল পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেককেই চলতি মাসে চাউল দেওয়া হয়নি। দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করলে জানান, তোমাদের কার্ড টি বাতিল হয়ে গেছে। অথচ কি কারনে কার্ডটি বাতিল হলো তা ভুক্তভোগি অসহায় পরিবারটি জানেন না। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শে^তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ কর্মসূচির ডিলারের চাল রাখার মজুদঘর। সেখান থেকে উপকারভোগিদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নিশ্চিত করেছেন একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তিনি জানান, ওজনে কম দেওয়া ও বাতিলের বিষয়ে ঘটনাস্থলে আমি প্রতিবাদ করেছি এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অব্যহিত করেছি। তিনি আরও বলেন, প্রথমে যাদের চাউল দেওয়া হয়েছিল পরবর্তী মাসে অন্যদের কাছে ঐ কার্ডটি ফ্লুয়েড দিয়ে নাম মুছে অন্যদের কাছে ১ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। মুলত এ গুলো করছে ডিলার আলমগীর হোসেন ও তার পিতা নজরুল সরদার। তা ছাড়া নতুন কার্ড করে দেওয়া হবে বলে ১ হাজার টাকা করে নিলেও ডিলার আলমগীর হোসেনের এ বিষয়ে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। শে^তপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী জোৎনা বলেন, ডিলারের কাছে সময় মতো এসে চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। এছাড়া ডিলারের কর্মচারীদের কাছ থেকে ৩০ কেজি চাল বাড়ি গিয়ে ওজন করে দেখা যায় প্রায় ২৫/২৬ কেজি থাকে। এদিকে অতিরিক্তি টাকা আদায় ও ওজনে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিলার আলমগীর হোসেন ও তার পিতার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়ে উঠেনি। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগি জনসাধারন।