
নজরুল ইসলাম, তালা থেকে: দীর্ঘ ৭ বছর যাবত কিডনি রোগে আক্রান্ত সুমন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে মাসে একবার ডায়ালাইসিস করাতে হতো কিন্তু বর্তমান পর্যায়ে সপ্তাহে দুটি ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন কুমার দাশ। সুমন এর বাবা সন্তোষ দাশ একজন দিনমজুর।
নিজের সন্তানকে জীবিত রাখতে মা কিডনি দান করে চান। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটিও পেরে উঠছে না সুমনের পরিবার। প্রথম থেকেই এলাকা ভিত্তিক সামান্য কিছু সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে তার দৈনন্দিন চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস কোনক্রমে চলতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে বর্তমানে যদি তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায় তাহলে সে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হবে প্রায় ৫-৭ লক্ষ টাকা। এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ নেই সুমনের পিতা-মাতার।
সুমন কুমার দাশ জানান, প্রতিবার ডায়ালাইসিস করাতে ৩২ শ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয় । হতদরিদ্র বাবার পক্ষে সেই খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে তার মায়ের কিডনি তার সাথে ম্যাচিং হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সুমন দাশের মা রীতা দাশের কিডনি তার শরীরে প্রতিস্থাপন করা ও আগে পরে বিভিন্ন খরচ বাবদ ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।
মা রীতা দাশ জানান ,আমার কিডনি দেওয়ার জন্য সকল পরীক্ষা সম্পর্ণ করেছি কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ যোগাতে না পারায় ছেলেটি আমার ধুকে ধুকে আজ মৃত্যু পথযাত্রী। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি, কোন দাতা সংস্থা বা সরকারিভাবে যদি এই অসহায় তরুণ ছেলেটির জন্য চিকিৎসার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে বেঁচে যেতে পারে একটি তরতাজা প্রাণ। তাই পরিবারটির মুখে হাসি ফোটাতে সকলের সাহায্য কামনা করেছে এলাকাবাসী।