
হাফিজুর রহমান: কালিগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলা জুড়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১ মাদক ব্যবসায়ী ৩ লিটার বাংলা মদ সহ আরো ১ মাদক ব্যবসায়ী, প্রতিবন্ধী গৃহবধুকে ধর্ষন প্রচেষ্টায় ১, অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় কপোতকোপতি সহ পরোয়ানাভুক্ত ৩জন সহ মোট ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে মঙ্গলবার দিন থেকে রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযানের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার সময় থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জিব ও সহকারী উপ-পরিদর্শক তারেক নলতা ঘোড়াপোতা নামক স্থান হতে ফেন্সিডিল কেনাবেচার সময় ১০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী গোলাম হোসেনকে (৩৫) হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে। সে দেবহাটা থানার বসন্তপুর গ্রামের নূর ইসলামের পুত্র। উক্ত ঘটনায় এ.এস.আই তারেক বাদী হয়ে বুধবার থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২৫। অন্য একটি পৃথক অভিযানে উপ-পরিদর্শক সিয়াবুল ও উপ-সহকারী পরিদর্শক জুয়েল এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় মৌতলা বাসষ্ট্যান্ড থেকে দুটি কোমল পানীয় বোতলে ৩ লিটার বাংলা মদ সহ আয়ুব হোসেন (৩২) নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। সে শ্যামনগর থানার ইসমাইলপুর গ্রামের কাওছার আলী গাজীর পুত্র। উক্ত ঘটনায় থানার এ.এস.আই জুয়েল বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে আরো একটি মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২৩। বাক-প্রতিবন্ধী এক গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষন প্রচেষ্টার মামলার আসামী লম্পট নূর ইসলামকে (৪৮) ভোর ৪টার সময় তার বাড়ী হতে উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন গ্রেপ্তার করে। সে উপজেলা তারালী ইউনিয়নের আমিয়ান গ্রামের ওয়াজেদ আলী গাজীর পুত্র। ২১ শে ফেব্রুয়ারী বেলা দেড়টার সময় স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে লম্পট নূর ইসলাম বাক-প্রতিবন্ধী গৃহবধু আছিয়া (৩৫) (ছদ্মনাম) এর ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টার সময় এলাকাবাসী গণপিটুনী দিলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় প্রতিবন্ধী গৃহবধুর ভাই রেজাউল বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষন প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২৪। অন্য আরো একটি পৃথক ঘটনায় রাত ১১টার সময় অসামাজিক কার্যকলাপ অবস্থায় উপজেলা বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাঁশবাগান হতে আজগার আলী ও এক গৃহবধুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জীব ঘটনাস্থল হতে ঐরাতে কপোতকোপতীকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক আরো একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২৬। গ্রেপ্তারকৃত লম্পট আজগার আলী কালিগঞ্জ থানার হিজলাচন্ডিপুর গ্রামের নওয়াব আলী গাজীর পুত্র। অন্য পৃথক অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভুক্ত ৩ জন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলার মাছরাঙা গ্রামের মৃত বাতু গাজীর পুত্র বাকী গাজী (৪০), কালিকাপুর গ্রামের ধলু মোড়লের পুত্র শাহিন (৩৫), নাটোয়ারবেড় গ্রামের হাসেম মল্লিকের পুত্র ফারাক মল্লিক (৪০)। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পুলিশি অভিযানে সত্যতা স্বীকার করে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মাদক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসাবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করে।